এখনো সময় আছে। অন্য কোথাও হাসাপাতাল হোক। শেষ সবুজটুকু বাঁচিয়ে জনগণের মনের কথা বুঝে শিরীষতলাকে রাখা হোক বিপদমুক্ত। ধরিত্রীর স্বার্থে, চট্টগ্রামের স্বার্থে এবং জনকল্যাণের জন্য এটা জরুরি। এবারও কি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার কাছেই যেতে হবে? না বোধোদয় ঘটবে সবার?
ঝামেলা এড়াতে প্রশাসন প্রায়ই প্রগতিবাদীদের পক্ষে থাকে না, কিংবা খোদ প্রশাসনেই হয়তো আবহমান বাঙালি সংস্কৃতির বিরুদ্ধবাদী লোক গিজগিজ করছে। রিসোর্ট কেলেঙ্কারির পর মৌলবাদী গোষ্ঠীটিকে আপাতত শান্ত বলে মনে হলেও একটি ফরাসি প্রবাদের কথা মনে করিয়ে দেওয়া যেতে পারে: ঘুমন্ত জলের চেয়ে ভয়ঙ্কর আর কিছুই হতে পারে না।
একাত্তরের দেশি-বিদেশি পরাজিত শক্তি যে একটি চরম প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য তলে তলে তৈরি হচ্ছিল সে বিষয়টি নিয়ে কারো তেমন মাথা ব্যথা ছিল বলে মনে হয় না। বঙ্গবন্ধু নিজে মনে করতেন, কোনো বাঙালি তার বুকে বন্দুকের নল তাক করতে পারবে না। মানুষকে অতিরিক্ত ভালোবাসতেন বলেই তিনি কারো প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করতেন না।
২৬ সেপ্টেম্বর ১৯৭৫ দখলদার রাষ্ট্রপতি খন্দকার মোশতাক আহমেদ ‘ইমডেমনিটি অধ্যাদেশ, ১৯৭৫’ জারি করে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যসহ ১৫ অগাস্টে সংঘটিত সকল হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের দায়মুক্তির পথ করে দেয়। শুরু হয় রাষ্ট্রীয় জীবনের এক কালো অধ্যায়, আত্মস্বীকৃত খুনীদের আইনের আওতায় নিয়ে এসে বিচারের সম্মুখীন না করার এক নজীরবিহীন অপসংস্কৃতি।
পিতার ধারাবাহিকতায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসে ৮ হাজার ৭২২ কোটি টাকা ব্যয়ে দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় ৫৬০ টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন, যা মুসলিম উম্মাহর ১৪ শ বছরের ইতিহাসে এক নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত।