খাদ্যগুদ

খাদ্যগুদামে মেরামত প্রকল্প কাজে অনিয়ম | 1052288 | কালের কণ্ঠ


সারাদেশের পুরাতন খাদ্য গুদাম ও আনুসঙ্গিক সুবিধাদির মেরামত এবং নতুন অবকাঠামো নির্মান প্রকল্পের আওতায় বরগুনার বেতাগী খাদ্যগুদামের সংরক্ষিত এলাকায় উন্নয়নকাজে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উন্নয়নকাজে দরপত্রের নির্ধারিত সিডিউল মোতাবেক কাজ না করা এবং নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করার অভিযোগ রয়েছে। 
জানা গেছে, ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রকল্প পরিচালক মো. হুমায়ুন কবির সাক্ষরিত ২০১৯ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি তারিখে ১১৩ নম্বর স্মারকে দেশের পুরাতন খাদ্য গুদাম ও আনুসঙ্গিক সুবিধাদির মেরামত এবং নতুন অবকাঠামো নির্মান প্রকল্পের অনুমোদন দেন। খাদ্যগুদাম সংরক্ষিত এলাকায় ১০টি উন্নয়ন কাজের প্রতিটি প্যাকেজ নিধার্রণ করা হয়। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় এই দরপত্র আহ্বান করা হয়। কাজের প্রাক্কলন অনুযায়ী বরগুনার বেতাগী খাদ্য গুদামের সংরক্ষিত এলাকায় উন্নয়ন কাজের বাংলাদেশ নৌ-বাহিনী নারায়ণগঞ্জের সোনাকান্দা কর্তৃক পরিচালিত ‘ডকইর্য়াড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্ক’ নামে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজের দায়িত্ব পায় এবং এতে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয় ১ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। যা ২০২১ সালের মধ্যে সম্পন্ন করার নির্দেশনা রয়েছে। 
      
বেতাগী পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের পুরাতন থানা সংলগ্ন এলাকায় খাদ্য গুদামের সংরক্ষিত এলাকায় রাস্তা মেরামত কাজে এলাকাবাসীর অনিয়মের অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে দেখা গেছে, রাস্তা মেরামত কাজে নিম্নমানের ইট, খোয়া, সিমেন্ট ও অন্যান্য নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করা হয়। খাদ্যগুদামে দরপত্রে রাস্তার মেরামত কাজে আর সিসি ঢালাইয়ের নিচে সিলিংয়ে ইট ব্যবহার করার নিয়ম থাকলেও তা করা হয়নি। 
নিম্নমানের ইটের খোয়া ও বালু দিয়ে ম্যাগাডাম হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। এতে রডগুলো তারা দিয়ে বাঁধা হলেও বৃষ্টির মধ্যে ঢালাইয়ের কাজ করার সময় পলিথিন পেপারের ওপর বৃষ্টির পানি জমে থাকতে দেখা গেছে। এরই মধ্যে গতকাল শনিবার (১০ জুলাই) দুপুরে  দেওয়া হয়েছে ঢালাই। 
খাদ্যগুদামের এলাকার সচেতন একাধিক ব্যক্তি জানান, সরাসরি নৌ-বাহিনীর কর্তৃক পরিচালিত হলে কাজের মান অনেক ভালো হতো। 
     
এ বিষয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষে দায়িত্ব থাকা বরিশাল জেলা আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মো. আনিছুর রহমান বলেন, ১ কোটি ৬৮ লাখ টাকার প্যাকেজে ওয়াল, মেইনগেট, ড্রইং ইয়ার্ড, অফিসকক্ষ, বাউন্ডারি ওয়াল, ১ হাজার মেট্রিক টন খাদ্যশস্য ধারণক্ষমতা সম্পন্ন ১টি ও ৫শ মেট্রিকটন ধারণক্ষমতা সম্পন্ন ২টি গুদাম, উপ-সহকারী খাদ্য পরিদর্শকের কক্ষ ১টি ও অফিস কাম কোয়ার্টারের কাজ রয়েছে এবং বরাদ্দের টাকা নষ্ট হবে না, বরং সিডিউল মোতাবেক কাজ করা হবে। 
    
দায়িত্বে থাকা খাদ্য বিভাগের বরিশাল আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী ফনিভূষণ দেবনাথ বলেন, দরপত্রের সিডিউল মোতাবেক কাজ করা হবে এবং কাজে কোনো অনিয়ম হবে না।
 
এই রকম আরো খবর

Related Keywords

Bangladesh , Betagi , Barisal , Barisal District , , National Daily , Food Ministry , Bangladesh Navy , Barguna Betagi Reserved , Barguna Betagi Food , Engineering Work , Barisal District Regional Food , Anisur Baby , Sub Assistant Food Inspector , Office Calm , Barisal Regional Food , பங்களாதேஷ் , பாரிசல் , பாரிசல் மாவட்டம் , தேசிய தினசரி , உணவு அமைச்சகம் , பங்களாதேஷ் கடற்படை , பொறியியல் வேலை ,

© 2025 Vimarsana