'মহারাজ'-এর

'মহারাজ'-এর ওজন ৩০ মণ, দাম হাঁকা হচ্ছে ১৩ লাখ! | 1050149 | কালের কণ্ঠ


উপকূলীয় জনপদ বরগুনার বেতাগীতে পবিত্র ঈদুল আজহা সামনে রেখে কোরবানির জন্য ৩০ মণ ওজনের একটি ষাঁড় প্রস্তুত করেছেন এক খামারি। আট ফুট লম্বা কালো রঙের ষাঁড়টির বয়স চার বছর। এর দাম হাঁকা হয়েছে ১৩ লাখ টাকা।
উপজেলার সবচেয়ে বড় এই ষাঁড়টির নাম ভালোবেসে রাখা হয়েছে ‘মহারাজ’। প্রতিবছর কোরবানির ঈদ সামনে রেখে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ওজন এবং দামে আলোচনায় উঠে আসে নানা বাহারি নামের ষাঁড়। এবার সেই তালিকায় উঠে এসেছে বেতাগীর ‘মহারাজ’।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ জানায়, এ খামারের মতো উপজেলায় আরো ৩৫১টি খামার রয়েছে। তবে এত বড় ষাঁড় আর কোথাও নেই। অস্ট্রেলিয়ান ফ্রিজিয়ান জাতের এ ষাঁড়টি উপজেলার সদর ইউনিয়নের বটতলা গ্রামের উদ্যোক্তা হাফিজুর রহমান সোহাগ চার বছর ধরে লালন-পালন করে আসছেন। তাঁর ব্যক্তিগত 'জাহানারা অ্যাগ্রো ফার্মেই মহারাজের জন্ম। সোহাগের খামারে মহারাজ ছাড়া আসন্ন কোরবানির ঈদে বিক্রির জন্য প্রস্তুত রয়েছে আরো চারটি ষাঁড়। এর মধ্যে ৩০ মণ ওজনের মহারাজের দাম হাঁকা হচ্ছে ১৩ লাখ টাকা।
জানা গেছে, শান্ত প্রকৃতির ও কালো রঙের অস্ট্রেলিয়ান ফ্রিজিয়ান জাতের এ ষাঁড়টির উচ্চতা পাঁচ ফুট এবং লম্বায় আট ফুট। এটির ওজন ৩০ মণ বা এক হাজার ২০০ কেজি হবে বলে সোহাগ দাবি করেন। প্রতিদিন মহারাজের খাদ্যতালিকায় ৩০ কেজি দানাদার খাবার ও সবুজ ঘাস থাকে। শুধু মহারাজের দেখাশোনার জন্যই খামারে রয়েছে আলাদা একজন লোক। চার বছর বয়সী মহারাজকে আসন্ন ঈদুল আজাহায় কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। ইতিমধ্যে মহারাজের হাঁকডাক চারদিকে ছড়িয়ে পড়ায় প্রতিদিনই ষাঁড়টি দেখতে খামারে ভিড় করছে উৎসুক জনতা।
প্রতিদিন অনেকেই এটি দেখতে আসেন। এমনই একজন  জেলা শহর  বরগুনা থেকে মহারাজকে দেখেতে আসেন, তাঁর নাম মোহাম্মদ রফিক উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘কয়েকজনের কাছে মহারাজের নাম শুনে দেখতে এলাম। এত বড় ষাঁড় দেখে অবাক হয়েছি।’
স্থানীয় মেসার্স জাহানারা অ্যাগ্রো ফার্মের মালিক হাফিজুর রহমান সোহাগ বলেন, ‘ষাঁড়টির রং কালো। আদর করেই এর নাম রাখা হয়েছে মহারাজ। মহারাজ খুবই শান্ত প্রকৃতির। উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরামর্শে সম্পূর্ণ দেশীয় খাবার খাওয়ানো হয়েছে। ক্ষতিকর কোনো ওষুধ কিংবা বিকল্প খাবার ছাড়াই মহারাজের ওজন প্রায় ৩০ মণ। এর দাম চাইছি ১৩ লাখ টাকা।’
এদিকে করোনার এ সময়ে হাটে মহারাজকে বিক্রি করা নিয়েও দুশ্চিন্তায় রয়েছেন সোহাগ। তিনি বলেন, ‘মহারাজের পেছনে প্রতিদিন অনেক টাকা খরচ হয়। তার নিরাপত্তা দিতেও এখন রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে। আমাদের মতো ছোট খামারির ঘরে এত বড় ষাঁড় রাখাও কঠিন। এ ঈদে মহারাজকে বিক্রি করতে না পারলে আর্থিকভাবে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হব।’
সোহাগ জানান, দশ বছর আগে ২০১১ সালের শেষের দিকে মাত্র একটি গরু দিয়ে খামার শুরু করেন তিনি। বর্তমানে তাঁর খামারে ১২টি গরু রয়েছে। এর মধ্যে চারটি ষাঁড় এবার কোরবানির ঈদে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলেন, ‘এ উপজেলায় এ ষাঁড়টি সবচেয়ে বড়। স্থানীয় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের পরামর্শে দেশীয় খাবার খাইয়ে ষাঁড়টিকে লালন-পালন করা হচ্ছে। আমরা ষাঁড়টিকে নিয়মিত দেখাশোনা করছি।'
এই রকম আরো খবর

Related Keywords

Barguna , Barisal , Bangladesh , Mohammad Rafique Ahmed , A Jahanara Agro King , M Jahanara Agro , Bmw , District Headquarters Union Grub , Price Being , Town Barguna , Australian Phrygian , Hafijur Baby , Jahanara Agro King , King Price Being , King Food , Many It View , King Name , Localm Jahanara Agro , Her Security , Farm Start , பாரிசல் , பங்களாதேஷ் , பிஎம்டபிள்யூ , கிங் உணவு ,

© 2025 Vimarsana