চিড়িয়াখানা এলাকায় দিশারী পরিবহনের ৪০০ ড্রাইভার-স্টাফ রয়েছে জানিয়ে একজন চালক বলেন, “১৫ দিন পার হয়ে গেল, কোনো ত্রাণ-সহায়তা আসে নাই। আমি গ্রাম থেকে কিছু চাল নিয়ে আসছিলাম, সেটাই খাচ্ছি। না হলে এখন ভিক্ষা করা লাগত। কারণ আমার যে শরীরের অবস্থা, তাতে রিকশাও চালাইতে পারি না।” সম্প্রতি গাবতলী বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, লকডাউনের কারণে দুপুরে সেখানে ভাসমান মানুষজনের জন্য খাবার বিতরণ করা হচ্ছে। ভবঘুরে, পাগল, ছিন্নমূল মানুষের জন্য বিতরণ করা এসব খাবার নিতে লাইনে দাঁড়িয়েছেন কিছু পরিবহন শ্রমিক। চলাচল স্বাভাবিক থাকলে তারা গাড়ি পরিষ্কার করা, মাঝেমধ্যে দূরপাল্লার বাসের হেলপার হওয়াসহ বিভিন্নভাবে আয় উপার্জন করছিলেন। শতশত গাড়ির ভিড়ে এরকম কিছু মানুষকে দেখা যায় যারা কাজ না থাকার কারণে টার্মিনাল এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন, আশা কম তবুও যদি কোনো কাজ মেলে। এই টার্মিনালে ছিন্নমূল মানুষের পড়াশোনায় নিয়োজিত বঙ্গবন্ধু অসহায় ছিন্নমূল স্কুলের শিক্ষক আল আমিন হাওলাদারকে দেখা গেল দুপুরে সেখানে খিচুড়ি বিতরণ করতে। তিনি জানান, আগে কেবল ছিন্নমূলদের মাঝে বিতরণ করা হলেও এখন সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। প্রতিদিন দুপুরে ও রাতে ২০০ মানুষকে খাবার দেওয়া হয়। কয়েকদিন ধরে ৫০/৬০ জন পরিবহন শ্রমিকও খাবার নিতে আসেন। তাদেরকে সম্মানের সঙ্গে পৃথকভাবে খাবার দেওয়া হয় বলে জানালেন তিনি। একদিন কাজ দুই দিন বসে থাকা সারাবছর গাড়ি চালানো বা কাজের পর এক লকডাউনেই কিভাবে সবকিছু অচল হয়ে যায়? তাহলে সঞ্চয় কী হয় না? পরিবহন শ্রমিকদের কাছে প্রশ্নটি করা হয়েছিল বারবার। এর উত্তরও প্রায় একই ধরনের। মহাখালী বাস টার্মিনালের বাসের হেলপার আবু তাহের মিয়া বলেন, “পরিবহন শ্রমিকদের হাতে আসে কাঁচা টাকা, নগদ। পকেটে যখন টাকা, তখন মাথা থাকে গরম। অধিকাংশ শ্রমিক এটাসেটা করে খরচ করে ফেলার অভ্যাস। কারণ সে জানে, একদিন পরেই আবার তার হাতে টাকা আসছে।” কোনো কাজ নেই, কঠোর লকডাউনের কারণে বাইরে ঘোরাও বারণ। তাই গাবতলী বাস টার্মিনালে ঘুমিয়ে অলস দুপুর পার করছে এক পরিবহন কর্মী। ছবি: মাহমুদ জামান অভি ঢাকা শহরের ভেতরে এবং ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া আন্তঃজেলা বাসগুলোর প্রতিটিতে দুজন করে চালক থাকেন। ফলে একজন চালকের পক্ষে মাসে ১৫ দিনের বেশি কাজ করা সম্ভব হয় না। চালকের সঙ্গে হেলপাররাও বদলি হিসেবে কাজ করেন। অনেক সময় একটি গাড়ির জন্য তিনজন চালকও বরাদ্দ থাকে। বাস-ট্রাক চালানোর অতিরিক্ত পরিশ্রম ও নির্ঘুম সময় পার করতে হয় বলে এই পদ্ধতি অনুসরনের কথা উল্লেখ করেন বাস মালিক ও শ্রমিক নেতারা। দৈনিক এক হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ এক হাজার ২০০ টাকা পর্যন্ত আয় করলেও পরিবহন শ্রমিকরা এই কারণে সঞ্চয় করতে পারেন না বলে তাদের দাবি। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বলেন, “আমার যে গাড়িগুলো আছে সেখানেও একদিন পর পর চালক-হেলপার কাজের সুযোগ পান। পরিবহনখাতে এভাবেই চলে। এখানে ‘নো ওয়ার্ক, নো পে’ ভিত্তিতে তারা কাজ করেন।” ঢাকা জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যকরি সদস্য সাইফুল ইসলাম বলেন, “শ্রমিকের কোনো নিয়োগ নাই, যেদিন গাড়ি চালায় সেদিনই তাদের আয় হয়। ফলে হরতাল অবরোধ কিংবা অন্য কারণে গাড়ি না চললে খুব সহজেই শ্রমিকরা কাবু হয়ে পড়েন।” নেই কোনো সরকারি ত্রাণ ২০২০ সালে প্রথম লকডাউনের সময় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে কর্মহীন হয়ে পড়া নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য দুই কিস্তিতে অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছিল। সেই বরাদ্দ থেকে কিছু বরাদ্দ সৌভাগ্যবান শ্রমিক পেয়েছিলেন। তবে মোট শ্রমিকদের ১/২ শতাংশও হবে না বলে মনে করেন শ্রমিক নেতারা। এনায়েত উল্লাহ বলেন, “আমি ব্যক্তিগতভাবে শ্রমিকদের কিছু দেওয়ার চেষ্টা করি। অন্যান্য মালিককেও এগিয়ে আসতে বলি। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে মালিকরা আরও চরম বিপদে আছেন। তাদের মাথার ওপর মাসে মাসে ব্যাংকের কিস্তি। যারা তিন চারটি গাড়ির মালিক, গাড়ি বন্ধ থাকার কারণে তাদের জীবনও অচল হয়ে গেছে।” নিজ কোম্পানি এনা পরিবহনের শ্রমিকদের জন্য এবারের ঈদে ২৫ লাখ টাকা বরাদ্দ করার কথা জানান তিনি। বাংলাদেশ বাস ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব আবু রায়হান বলেন, “আমরা মালিকরাও চরম বিপদে আছি। তারপরও শ্রমিকদের জন্য ঈদের সময় কিছু করার চেষ্টা করি। সরকারের কাছে আমরা শ্রমিকদের জন্য বার বার দাবি জানিয়েছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত কিছুই পাইনি।” শ্রমিক নেতা সাইফুল বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মহাখালী বাস টার্মিনালের সাড়ে তিন হাজার শ্রমিকের লিস্ট জমা দিয়েছি। সেই লিস্টের কিছুই হয়নি। প্রধানমন্ত্রী সারাদেশের কর্মহীনদের যে সহায়তা করেছেন সেখান থেকে পরিবহন শ্রমিকরা কিছু পাবে বলে আশা করেছিলাম, সেটাও হয়নি।” মিরপুরের পরিবহন শ্রমিক আব্দুস সালাম বলেন, গতবছর প্রথম লকডাউনের পর ১০ কেজি, ১০ কেজি করে ২০ কেজি চাল পেয়েছিলেন। এরপর আর কিছু পাননি। চিড়িয়াখানা এলাকার শ্রমিকরা জানান, গতবছর পরিবহন নেতারা কিছু ত্রাণ দিয়েছেন, স্থানীয় কাউন্সিলর ও অন্য নেতারাও ত্রাণ বিতরণ করেছেন। কিন্তু সর্বশেষ লকডাউনে কেউ কোনো ত্রাণ নিয়ে আসেনি। '; adv2 = ' '; if(plength >=12){ position = `.custombody > p:nth-of-type(${parseInt(plength/3)})`; position2 = `.custombody > p:nth-of-type(${parseInt(2*plength/3)})`; //console.log("plength greater or equal 12: "+plength); $(adv).insertAfter(position); $(adv2).insertAfter(position2); dfpHead2(); googletag.cmd.push(function() { googletag.display("div-gpt-ad-1583412120279-0");googletag.display("div-gpt-ad-1583412120279-1");}); }else if(imglength > 10){ position = `#plainPicture > ul > li:nth-of-type(${parseInt(imglength/3)})`; position2 = `#plainPicture > ul > li:nth-of-type(${parseInt(2*imglength/3)})`; $(adv).insertAfter(position); $(adv2).insertAfter(position2); dfpHead2(); googletag.cmd.push(function() { googletag.display("div-gpt-ad-1583412120279-0");googletag.display("div-gpt-ad-1583412120279-1");}); }else if(plength ul > li:nth-of-type(${parseInt(imglength/2)})`; $(adv).insertAfter(position); dfpHead1(); googletag.cmd.push(function() { googletag.display("div-gpt-ad-1583412120279-0");});