Anandabazar
Woman appealed to Kerala High Court to release his daughter from Kabul prison
মেয়ে-নাতনি বন্দি কাবুলে, ফেরানোর আর্জি হাই কোর্টে
সংবাদ সংস্থা
কোচি ০৪ জুলাই ২০২১ ০৭:১৯
প্রতীকী ছবি।
আফগানিস্তানের জেল থেকে মেয়ে নিমিশাকে ফেরাতে কেরালা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হলেন মা। ইসলাম ধর্ম গ্রহণের পরে নিমিশা এখন অবশ্য ফতিমা আইসা। ফতিমার সঙ্গেই জেলে দিন কাটছে তাঁর পাঁচ বছরের মেয়ের। মেয়ের সঙ্গে নাতনিকেও দেশে আনার ব্যবস্থা করার আবেদন জানিয়েছেন কেরলের মহিলা বিন্দু কে।
আইএস জঙ্গি স্বামীরা আফগান বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধে মারা যাওয়ার পরে কেরলের চার ধর্মান্তরিত তরুণী আত্মসমর্পণ করেছিলেন। ফতিমা তাঁদের অন্যতম। বাকি তিন জন হলেন রফিলা, সোনিয়া সেবাস্টিয়ান ও মেরিন জ্যাকব। ২০১৯ থেকে তাঁরা কাবুলের জেলে বন্দি রয়েছেন। ২০১৬ সালে ফতিমা ও তাঁর স্বামী-সহ কেরলের ২১ জন নিখোঁজ হয়ে যান। দেশ জুড়ে অনেক হইচই হয়। জানা যায়, আফগানিস্তানে আইএস নিয়ন্ত্রিত এলাকায় গিয়েছেন তাঁরা। কয়েক জন আইএস জঙ্গি হয়ে বা জঙ্গি স্বামীর সঙ্গে সিরিয়ায় গিয়েছেন। সিরিয়া গিয়েছিলেন ফতিমাও।
বিন্দুর অভিযোগ, জ়াকির নায়েকের নেতৃত্বে মৌলবাদীরা পরিকল্পিত ও ধারাবাহিক ভাবে মেয়ের মগজ ধোলাই করেছিল। তার জেরেই নিমিশা হিন্দু ধর্ম ছেড়ে মুসলিম হন। বিয়ে করেন আইএস জঙ্গিকে। কেরল হাই কোর্টে বিন্দুর আর্জি, মেয়ে ও নাতনিকে দেশে এনে সমাজের মূল স্রোতে ফেরানো হোক। ফতিমাদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে এনআই-এর। রয়েছে রেড কর্নার নোটিসও। এই পরিস্থিতিতে বিন্দুর আবেদন, দেশে এনেই বিচার করা হোক ফতিমার। সঙ্গে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হোক নাতনিরও। এই দু’জন কোনও ভাবেই ভারতের সুরক্ষা ও সার্বভৌমত্বের পক্ষে বিপজ্জনক হবে না। বিন্দু চান, এই বিষয়ে আদালত বিদেশ মন্ত্রক ও কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে তৎপর হতে নির্দেশ দিক।
Advertisement
Advertisement
আবেদনে বিন্দু তাঁর একটি বিশেষ আশঙ্কার কথাও জানিয়েছেন। তা হল, আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে অফগানিস্তান থেকে আমেরিকান সেনা ফিরে যাওয়ার পরে ওই দেশ ফের মৌলবাদী ও সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলির কব্জায় চলে যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে বিপন্ন হতে পারে ফতিমা ও তাঁর মেয়ের জীবন। এ ছাড়া ‘আফগানিস্তানে বন্দি ভারতীয়দের অধিকার ও স্বার্থ রক্ষার দায়িত্বও রয়েছে সরকারের’ এ কথাও উল্লেখ করা হয়েছে আবেদনে।
কিছু দিন তেমন নাড়াচড়া না-পড়লেও ২০২০-র ১৫ মার্চ ফতিমাদের বিষয়টি ফের চর্চায় তুলে আনে দিল্লির একটি ওয়েবসাইট। সেখানে দেখানো হয়, ফতিমা, রফিলা, সোনিয়া ও মেরিন চার বন্দিই দেশ ফিরতে চান। আফগানিস্থানের সঙ্গে ২০১৯ থেকে বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি রয়েছে ভারতের। ফলে মেয়ে-সহ ফতিমার প্রত্যর্পণে আইনি বাধা তুলনায় কম। তবে বিশ্বে মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠার নামে ঘৃণা ছড়ানো, নিমিশা তথা ফতিমাদের মতো অনেক তরুণী ও তরুণদের ইসলামিক স্টেট (আইএস)-এর মতো সন্ত্রাসবাদী দলে যোগ দিতে প্ররোচনা জোগানোর মতো অভিযোগ রয়েছে যার বিরুদ্ধে, সেই জ়াকির নায়েক এখনও মালয়েশিয়ায় বসে তথাকথিত ‘ধর্মপ্রচার’ চালিয়ে যাচ্ছে। ২০১৬-তে ঢাকা ক্যাফে বিস্ফোরণের পর ভারত থেকে পালিয়েছিল জ়াকির। বহু চেষ্টা করেও দেশে এনে তার বিচার করতে পারছে না ভারত।
Advertisement