comparemela.com


মাঝ-দুপুরে এক অতি গভীর জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে একা যাচ্ছিল নয়ন। বেলা যে মাঝ-দুপুর তা কে বলবে? বড় বড় ঘন গাছের কারণে পুরো জঙ্গলে গা ছমছমে অন্ধকার। যেন সন্ধ্যা ঘনিয়েছে। দুরু দুরু ভয় আর শঙ্কা নিয়ে নয়ন জোর কদমে হাঁটতে থাকে। আর মনে মনে নিজেকে সাহস দেয় – ভূত-প্রেত বলতে দুনিয়ায় কিছু নাই। সব দুর্বল মনের কল্পনা।
পুরো জঙ্গলে একটু পাতা পড়ার শব্দও নেই। বাতাস নেই, আলো নেই, সে এক গুমট অবস্থা। তার মাঝেই ডান দিকে অদূরে একটা বড় গাছের দিকে নয়নের দৃষ্টি চলে যায় – ও কী ! গাছের ডালে ওটা কী দুলছে? ওখানে শাদা শাড়ি এলো কোথা থেকে? ভয়ে নয়নের চোখ বড় বড় হয়ে যায়। সে থমকে দাঁড়ায়।
তখন একটা নারী কণ্ঠ নাঁকি সুরে বলে ওঠে – আঁরেঁ মঁনুঁ ডঁরাঁইঁস নাঁ। মোঁর শাঁদাঁ কাঁপুঁড়ঁডাঁ এঁট্টুঁ হুঁগাঁইঁতেঁ দিঁছিঁ।
নয়ন ভয়ে তোতলায় – কে-ক-কে ? ক্কে ক-কথা বলে ?
আরেকটা নারী কণ্ঠ হি হি করে হেসে ওঠে, বলে – ওঁরেঁ চিঁনোঁ নাঁ ? ওঁ তো শাঁকচুঁন্নি বুড়ি।
নতুন কণ্ঠ শুনে নয়ন আরো ভরকে যায়। জিজ্ঞেস করে – তুত-তুমি কে ? তুমি কে?
এবার এক পুরুষ ফিঁচকা কণ্ঠে হে হে করে হেসে বলে – আঁরেঁ তাঁও জাঁনিঁস নাঁ ? ওঁ হঁইঁলঁ শ্যাঁওঁড়াঁ গাঁছেঁর পেঁত্নীঁ।
ভয়ে জমে যেতে যেতে নয়ন শুধায় – আ আ আপনে ক্কে ?
আরেকটা পুরুষ কণ্ঠ গম গম করে ওঠে – ওঁ হঁইঁলোঁ গিয়া কাঁনাঁউঁলাঁ ?
নয়ন আতঙ্কে আর কথা বলতে পারে না। তবে মনে তার জিজ্ঞাসা – ইনি আবার কে ?
নতুন এক পুরুষ কণ্ঠ ঘর ঘর করে ওঠে – ঐঁ ব্যাঁটাঁ মাঁমঁদোঁ। আঁর আঁমিঁ স্কন্ধ-কাঁটাঁ।
প্রচণ্ড ভয়ে জমে যাওয়া নয়ন মনে মনেই জানতে চায় – আর কেউ নাই ?
এবার সবগুলো ভুতে সমস্বরে বলে – থাকবে না কেন ? তুই আছিস তো। দুইদিন আগে ঠাডা পইড়া মরছোস ভুইল্লা গেছোস?
সাথে সাথে নয়নের শরীর হালকা হয়ে যায়। বাতাসে মিলিয়ে যেতে যেতে লজ্জায় মুচকি হেসে বলে সে – নতুন ভূত হইছি তো, ভুইল্লা যাই খালি।

Related Keywords

,Branch It ,Flight Not ,கிளை அது ,

© 2025 Vimarsana

comparemela.com © 2020. All Rights Reserved.