উপকূলীয় জনপদ বরগুনার বেতাগীতে প্রবল বর্ষণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গত সোমবার গভীর রাত থেকে এ অঞ্চলে বৃষ্টি শুরু হয়। গতকাল সারাদিনই মূষলধারে বর্ষণ। ফলে বিপাকে রয়েছে শ্রমজীবী দিনমজুর মানুষেরা। এছাড়া বিষখালী নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় নদীর তীরবর্তী এলাকার মানুষ আতঙ্কে রয়েছে।
দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় গত সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে এ উপজেলায় কোথাও বিদ্যুৎ নেই। এদিকে রাত ১১টার পরে শুরু হয় দমকা হাওয়া আর বিরতিহীন ভারি বর্ষণ। রাত যত গভীর হচ্ছিল, বাতাসের বেগ তত বাড়ছিল। নদীর তীরবর্তী এলাকার মানুষ আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটছে।
এ অঞ্চলের অতীতের ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর প্রলয়ংকরী সিডর, ২০০৯ সালের আইলা, ফণিসহ বিভিন্ন ঘূর্ণিঝড়ে গবাদি পশু ও মানুষের প্রাণহানীসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এসব কারণে নদীতে পানি বৃদ্ধি পেলে এবং দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় ঘুম চলে যায় মানুষের।
বরিশাল আবহাওয়া অফিস থেকে জানা গেছে, বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের ফলে উপকূলের নদীগুলোতে দুপুর থেকে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেওয়া হয়েছে এবং আরো দু'দিন বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। উপজেলা নিন্মাঞ্চল পানিতে তলিয়ে গেছে। আউশ ও বোরো ধানের ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। কোথাও কোথাও পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। অতি প্রয়োজন ছাড়া পৌর শহরের সড়কগুলোতে মানুষের তেমন চলাচল করতে দেখা যায়নি। মহামারি করোনার প্রভাবে কঠোর লকডাউনের কারণে এবং আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে প্রবল বর্ষণে গ্রামের সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এছাড়া প্রবল বৃষ্টি ও পুর্নিমার প্রভাবে বিষখালী নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদীর তীরবর্তী এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ অবস্থায় খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষেরা রয়েছেন বিপাকে।
এই রকম আরো খবর