বরগুনার আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্ট না থাকায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের হাইফ্লোতে অক্সিজেন সরবরাহ করা যাচ্ছে না। এতে জীবন নিয়ে শঙ্কায় থাকা রোগীরা দ্রুত হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্ট নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত চার মাসে ওই উপজেলায় প্রায় দুই হাজার ৫০০ জন মারণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে আক্রান্ত অধিকাংশ রোগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের করোনা ইউনিটে চিকিৎসা নিয়েছেন। কিন্তু গত এক মাস ধরে উপজেলায় করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। গত ১ জুলাই থেকে সোমবার পর্যন্ত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ২০ শয্যার করোনা ইউনিটে ৫৪ জন রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৬ জন, রেফার হয়েছেন ১৫ জন, মারা গিয়েছেন ১ জন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্ট না থাকায় সিলিন্ডারের অক্সিজেন ব্যবহার করতে হচ্ছে করোনা আক্রান্ত রোগীদের। এতে আক্রান্ত রোগীরা প্রয়োজনীয় অক্সিজেন পাচ্ছে না। হাইফ্লোতে অক্সিজেন সরবরাহ না হওয়ায় রোগীরা তাদের জীবন নিয়ে শঙ্কায় আছেন। দ্রুত হাসপাতালে সেন্টাল অক্সিজেন প্লান্ট নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী রোগীরা।
অপরদিকে পাঁচ মাস আগে একটি বেসরকারি কম্পানি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্ট নির্মাণের আগ্রহ প্রকাশ করে। কিন্তু মন্ত্রণালয়ের অনুমতি না থাকায় ওই কম্পানিটি প্লান্ট নির্মাণ করতে পারেনি। তিন মাস আগে উপজেলা স্বাস্থ্য প্রশাসক ডা. আবদুল মুনয়েম সাদ সেন্ট্রাল প্লান্ট নির্মাণের অনুমতি চেয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন। এখনো ওই আবেদন মন্ত্রণালয়ে ঝুলে আছে।
গতকাল সোমবার সরেজমিনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, করোনা ইউনিটে ভর্তি ১৩ রোগীর সবাই শ্বাসকষ্ট লাঘবে সিলিন্ডারের অক্সিজেন ব্যবহার করছেন। এতে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন পাচ্ছেন না বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক রোগী জানান। তারা আরো জানান, সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্ট হলে অতিমাত্রায় অক্সিজেন পাওয়া যেত, তাহলে আমাদের এত কষ্ট পেতে হতো না।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবদুল মুনয়েম সাদ বলেন, সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্ট নির্মাণ করা হলে রোগীদের উচ্চ মাত্রায় অক্সিজেন সরবরাহ করা যেত এবং রোগীদের শ্বাসকষ্ট লাঘব হতো। একটি বেসরকারি কম্পানি সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্ট নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছিল, কিন্তু মন্ত্রণালয়ের অনুমতি না থাকায় তারা সেটি নির্মাণ করতে পারেনি।
তিনি আরো বলেন, সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্ট নির্মাণের অনুমিত চেয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছি। অনুমতি পেলেই বেসরকারি কম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করে নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
সাতদিনের সেরা