comparemela.com


বিশাল জলাশয়ে অসংখ্য রুই, কাতলা, কালবাউস, বাটা, মৃগেল, তেলাপিয়া, সিলভার কার্প, গ্রাসকার্প, নাইলোটিকা মরে ভেসে আছে। পশ্চিমবঙ্গের ই এম বাইপাস লাগোয়া পাটুলিতে প্রায় ৫০ বিঘা এলাকায় মাছ চাষ করেন স্থানীয় মৎস্যজীবীরা। অভিযোগ উঠেছে, গত ৯ জুলাই থেকে এখন পর্যন্ত জলাশয়ে রোজ মাছ মরে ভেসে উঠছে।
রাজ্য মৎস্য দপ্তরের কাছ থেকে ওই জলাশয়টি লিজ় নিয়েছে বৃজি-পাটুলি মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি। সমিতির পক্ষ থেকে এরই মধ্যে পাটুলি থানা ও রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদকে বিষয়টি লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। 
সমিতির অভিযোগ, পাশেই একটি গাড়ি সংস্থার শোরুম ও সার্ভিস সেন্টার রয়েছে। সেই সেন্টারের তেল ও মোবিল-সহ নানা বর্জ্য পদার্থ পানিতে ফেলা হয়। ওই দূষণের জেরেই মারা যাচ্ছে মাছ। ওই সংস্থা অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ওই জলাশয়কে ঘিরে একটি ইকো পার্কের উদ্বোধন করেছিলেন ২০১৬ সালে। নাম দেওয়া হয়েছিল ‘বেণুবনচ্ছায়া’। 
উদ্যান ঘিরে পাঁচটি বড়, সংযুক্ত জলাশয় রয়েছে। তারই মধ্যে একটি জলাশয়ে প্রায় ১২ লাখ টাকার মাছ মরে গেছে।
বৃজি-পাটুলি মৎস্যজীবী সমিতির চেয়ারম্যান গফুর হালদার বলেন, মোট ৩৫ জন মাছ চাষি সেখানে মাছ চাষ করেন। গত ৯ জুলাই সকালে দেখি, জলাশয়ের রং কালো হয়ে গেছে। প্রচুর মরা মাছ ভাসছে। জলাশয় লাগোয়া একটি গাড়ি সংস্থার শোরুম ও সার্ভিস সেন্টার থেকে তেল, মোবিল-সহ নানা বর্জ্য ওই পানিতে এসে মেশে। তা থেকেই এমনটা ঘটেছে। সে দিনই শোরুম ও সার্ভিস সেন্টারের ম্যানেজিং ডিরেক্টরের সঙ্গে দেখা করতে যাই। কিন্তু রক্ষী বলেন, তিনি মিটিংয়ে ব্যস্ত আছেন। তার পর থেকে প্রতিদিনই প্রচুর মাছ মরে ভেসে উঠছে।
স্থানীয় বাসিন্দা তথা জিয়োলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার ইঞ্জিনিয়ার অরোত্তম কুণ্ডুর অভিযোগ, আমি গিয়ে দেখেছি, ওই সার্ভিস সেন্টারের নিকাশি নালা থাকলেও সেই পথ পুরো রুদ্ধ। সম্ভবত সেই কারণেই বর্জ্য পদার্থ জলাশয়ে ফেলা হচ্ছে। ওই গাড়ি সংস্থা ও সার্ভিস সেন্টারের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা না নিলে জলাশয়ের মাছ দূষণে মরে যাবে। বাস্তুতন্ত্র বিঘ্নিত হবে। চাষিদের আর্থিক ক্ষতি হবে।
শুক্রবার রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের প্রতিনিধিরা জলাশয় পরিদর্শন করে জলের নমুনা সংগ্রহ করেছেন। পর্ষদের এক পদস্থ ইঞ্জিনিয়ার বললেন, পাটুলির ওই জলাশয়ের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। সেন্ট্রাল ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছে পরীক্ষার জন্য। পাটুলি থানার এক আধিকারিক জানান, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার মৎস্য দপ্তরের সহকারী মৎস্য অধিকর্তা সব্যসাচী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ওই চাষিরা যাতে ক্ষতিপূরণ পান, তার ব্যবস্থা করা হবে। ওই সার্ভিস সেন্টারের বর্জ্য পানিতে পড়ার কারণেই মাছ মারা গেছে, এটা যদি প্রমাণ হয়, তা হলে আমরা ওই সংস্থার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।
ওই গাড়ি সংস্থা তথা সার্ভিস সেন্টারের তরফে বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী যাবতীয় অভিযোগ শুক্রবার রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের প্রতিনিধিরা জলাশয় পরিদর্শন করে জলের নমুনা সংগ্রহ করেছেন। পর্ষদের এক পদস্থ ইঞ্জিনিয়ার বললেন, ‘‘পাটুলির ওই জলাশয়ের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। সেন্ট্রাল ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছে পরীক্ষার জন্য।’’ পাটুলি থানার এক আধিকারিক জানান, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার মৎস্য দফতরের সহকারী মৎস্য অধিকর্তা সব্যসাচী বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, ‘‘ওই চাষিরা যাতে ক্ষতিপূরণ পান, তার ব্যবস্থা করা হবে। ওই সার্ভিস সেন্টারের বর্জ্য জলে পড়ার কারণেই মাছ মারা গিয়েছে, এটা যদি প্রমাণিত হয়, তা হলে আমরা ওই সংস্থার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।’’
ওই গাড়ি সংস্থা তথা সার্ভিস সেন্টারের তরফে বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী যাবতীয় অভিযোগ শুক্রবার রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের প্রতিনিধিরা জলাশয় পরিদর্শন করে জলের নমুনা সংগ্রহ করেছেন। পর্ষদের এক পদস্থ ইঞ্জিনিয়ার বললেন, ‘‘পাটুলির ওই জলাশয়ের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। সেন্ট্রাল ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছে পরীক্ষার জন্য।’’ পাটুলি থানার এক আধিকারিক জানান, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার মৎস্য দফতরের সহকারী মৎস্য অধিকর্তা সব্যসাচী বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, ‘‘ওই চাষিরা যাতে ক্ষতিপূরণ পান, তার ব্যবস্থা করা হবে। ওই সার্ভিস সেন্টারের বর্জ্য জলে পড়ার কারণেই মাছ মারা গিয়েছে, এটা যদি প্রমাণিত হয়, তা হলে আমরা ওই সংস্থার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।’’
ওই গাড়ি সংস্থা তথা সার্ভিস সেন্টারের তরফে বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী যাবতীয় অভিযোগ খারিজ করে দিয়ে বলেন, সেন্টার থেকে বর্জ্য পদার্থ বের হওয়ার জন্য আলাদা নিকাশি নালা রয়েছে। বর্জ্য কোনোভাবেই জলাশয়ে পড়তে পারে না। এত দিন কিছু হয়নি। আর আজ হঠাৎ করে এমনটা ঘটল?
সূত্র: আনন্দবাজার।
এই রকম আরো খবর

Related Keywords

India ,Biswajit Chakraborty ,Ghafoor Halder ,Parganas Fisheries Office ,Fisheries Office ,West Bengal Lake ,Silver Carp ,West Bengal ,Blake Rose ,State Fisheries Office ,Eco Park ,Association Chairman Ghafoor Halder ,Center Managing ,Friday State ,South Parganas Fisheries Office ,Fisheries Director ,Her Law ,இந்தியா ,பிஸ்வாஜித் சக்ரவர்த்தி ,மீன்வளம் அலுவலகம் ,வெள்ளி கெண்டை ,மேற்கு பெங்கல் ,ஏரி உயர்ந்தது ,சூழல் பூங்கா ,மையம் நிர்வகித்தல் ,வெள்ளி நிலை ,மீன்வளம் இயக்குனர் ,

© 2025 Vimarsana

comparemela.com © 2020. All Rights Reserved.