২২ দিন বন্ধ থাকার পর অন্য গণপরিবহনের মতো চলতে শুরু করেছে যাত্রীবাহী ট্রেনও৷
আজ বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) ভোর পৌনে ৫টায় রাজধানীর কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে বলাকা কমিউটার ট্রেন ছেড়ে যায় ময়মনসিংহের উদ্দেশে। এর পর ভোর ৫টায় জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ বাজারের উদ্দেশে ছেড়ে যায় দেওয়ানগঞ্জ কমিউটার৷
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মাসুদ সরোয়ার বলেন, আজ ভোর থেকে সিডিউল অনুযায়ী ট্রেন ছাড়তে শুরু করেছে। প্রথমে ময়মনসিংহের উদ্দেশে বলাকা কমিউটার ছেড়ে গেছে৷ এর পর নির্ধারিত সময় অনুযায়ী ছাড়ছে সব ট্রেন।
এর আগে গতকাল সকাল থেকেই ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করেছে রেলওয়ে। এই এক সপ্তাহ সারা দেশে ৩৮ জোড়া আন্ত নগর ও ১৯ জোড়া লোকাল ট্রেন চলাচল করবে। অর্ধেক আসনের শতভাগ টিকিটই অনলাইনে বিক্রি করা হচ্ছে। ট্রেন চলাচলের ব্যবস্থা পরিদর্শনের জন্য আজ সকালে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে যাওয়ার কথা রয়েছে রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজনের।
জানা গেছে, মোট ৩৮ জোড়া আন্ত নগর এবং ১৯ জোড়া লোকাল ট্রেন যাত্রীদের সেবা দেবে। যাত্রীদের ট্রেনে ভ্রমণের ক্ষেত্রে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে এবং মাস্ক পরতে হবে৷
যেসব আন্ত নগর ট্রেন চলাচল করছে-সুবর্ণ এক্সপ্রেস, মহানগর গোধূলি/ তূর্ণা, মহানগর প্রভাতী/তূর্ণা, তিস্তা এক্সপ্রেস, যমুনা এক্সপ্রেস, কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস, মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস, উপকূল এক্সপ্রেস, পারাবত এক্সপ্রেস, জয়ন্তিকা/উপবন এক্সপ্রেস, মেঘনা এক্সপ্রেস, অগ্নিবীনা এক্সপ্রেস, জয়ন্তিকা/উপবন এক্সপ্রেস, পাহাড়িকা/উদয়ন এক্সপ্রেস, সোনার বাংলা এক্সপ্রেস, বিজয় এক্সপ্রেস, পাহাড়িকা/উদয়ন এক্সপ্রেস, হাওর এক্সপ্রেস, একতা এক্সপ্রেস, দ্রুতযান এক্সপ্রেস, বনলতা এক্সপ্রেস, পদ্মা এক্সপ্রেস, সুন্দরবন এক্সপ্রেস, চিত্রা এক্সপ্রেস, রংপুর এক্সপ্রেস, লালমনি এক্সপ্রেস, নীলসাগর এক্সপ্রেস, রূপসা এক্সপ্রেস, মধুমতি এক্সপ্রেস, তিতুমীর এক্সপ্রেস, সাগরদাড়ী এক্সপ্রেস, ঢালারচর এক্সপ্রেস, টুঙ্গীপাড়া এক্সপ্রেস, বরেন্দ্র এক্সপ্রেস, সীমান্ত এক্সপ্রেস, কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস, বাংলাবান্ধা এক্সপ্রেস এবং পঞ্চগড় এক্সপ্রেস৷
যেসব মেইল/কমিউটার ট্রেন চলাচল করছে সেগুলো হলো ঢাকা-চট্টগ্রাম, কর্ণফুলী কমিউটার, সাগরিকা কমিউটার, বলাকা কমিউটার, জামালপুর কমিউটার, সুরমা মেইল, তিতাস কমিউটার, দেওয়ানগঞ্জ কমিউটার, ময়মনসিংহ এক্সপ্রেস, মহুয়া কমিউটার, ঢাকা কমিউটার, রকেট মেইল, মহানন্দা এক্সপ্রেস, পদ্মরাগ কমিউটার, উত্তরা এক্সপ্রেস, রাজবাড়ী এক্সপ্রেস, বিরল কমিউটার, বগুড়া কমিউটার এবং কলেজ ট্রেন৷
এদিকে ট্রেনে চলাচলকারী যাত্রীদের জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ে বেশ কিছু নির্দেশনা প্রদান করেছে। এ মধ্যে রয়েছে প্রতিটি ট্রেনের টিকিট অনলাইনে বিক্রয় করা হবে। নন কম্পিউটারাইজড স্টেশনের টিকিট ওই স্টেশন কাউন্টার থেকে কিনতে হবে। সব অগ্রিম টিকিট যাত্রার ৫ (পাঁচ) দিন আগে যাত্রীরা কিনতে পারবেন। অনলাইনে ক্রয়কৃত টিকিট ফেরত দেওয়া যাবে না।
নির্দেশনার মধ্যে আরো রয়েছে কমিউটার ট্রেনের টিকিট যথারীতি নির্দিষ্ট বক্স কাউন্টার হতে দেওয়া হবে। টিকিটবিহীন কোনো যাত্রী স্টেশনে প্রবেশ বা ট্রেনে ভ্রমণ করতে পারবেন না।
করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে গত বছরের ২৫ মার্চ প্রথম যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধের ঘোষণা দেয় সরকার। দুই মাসের বেশি সময় পর গত বছরের ৩১ মে আট জোড়া আন্ত নগর ট্রেন চালু করা হয়। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ঠেকাতে চলতি বছরের ৫ এপ্রিল থেকে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ করা হয়।
৭ সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর ২৪ মে থেকে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়। এরপর ২৩ জুন থেকে আবারো ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখে কর্তৃপক্ষ।
এই রকম আরো খবর