দিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলায় ৩০০ অসহায় ও করোনায় ক্ষতিগ্রস্থ হকার, কুলি, হোটেল শ্রমিক ও রিকশাচালকের মাঝে ত্রাণ সহায়তা দিয়েছে কালের কন্ঠ শুভসংঘ। সোমবার (১২ জুলাই) বিরামপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বসুন্ধরা গ্রুপের সহায়তায় এই ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করে শুভসংঘের সদস্যরা।
বিশ বছর ধরে চোখে দেখতে পান না আব্দুর রহমান। তখন থেকেই কর্মক্ষমতা হারিয়েছেন। ছোট ছেলের রোজগার দিয়েই স্ত্রীসহ দুই ছেলে আর এক মেয়ে নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তিনি। আব্দুর রহমান বলেন, আমার ছোট ছেলে রাজমিস্ত্রীর কাজ করে। যখন কাজকাম থাকে তখন সংসার চলে। কাজকাম না থাকলে খুব কষ্টে দিন যায়। এখন করোনার মধ্যে খুব কষ্টেই যাচ্ছে দিন। বসুন্ধরা গ্রুপ আজকে আমাদের ত্রাণ দিলো তাদের জন্য দোয়া করি। তাদের আরো উন্নতি হোক, আরো উদার হোক।
সড়ক দূর্ঘটনায় পা হারিয়েছেন জাকিরুল ইসলাম। স্ত্রীসহ মা ও দুই মেয়ে নিয়ে কষ্ট আছেন তিনিও। বসুন্ধরা গ্রুপের ত্রাণ পেয়ে তিনি বলেন, ভাই-বোন ছাড়া কেউ হামার সাহায্য করছু না। আজ তুমরা এলা খাবার দিলা। তোমার জন্য দোয়া করছু৷
ত্রাণ বিতরণে অংশ নিয়ে বিরামপুর উপজেলা চেয়ারম্যান খাইরুল আলম রাজু বলেন, দিনাজপুরের অসহায় ও করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে ত্রাণ সহায়তা দেওয়ার জন্য বসুন্ধরা গ্রুপকে ধন্যবাদ জানাই। বসুন্ধরা গ্রুপ যেন তাদের এই মানবিক হাতটা সমাজের অসহায় মানুষের মাঝে বাড়িয়ে দেয় সেই প্রত্যাশা করি। বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে শুভসংঘ প্রতি জেলায় জেলায় গিয়ে মানুষের মাঝে এই ত্রাণ বিতরণ করছেন তাই তাদেরকেও অনেক ধন্যবাদ জানাই।
এছাড়া ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে আরো উপস্থিত ছিলেন বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পরিমল কুমার সরকার, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুমন কুমার মহন্ত, বিরামপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আরমান হোসেন, কালের কণ্ঠ শুভসংঘের পরিচালক জাকারিয়া জামান, কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শামীম আল মামুন, সদস্য শরীফ মাহ্দী আশরাফ জীবন, শুভসংঘের দিনাজপুর জেলা শাখার সভাপতি রাসেল ইসলামসহ রশিদুল ইসলাম, শরিফুল ইসলাম শরিফ, ইয়াসির আরাফাত রাফি, দিনাজপুর সরকারি কলেজ শাখার হুমায়ুন পারভেজ, বিরামপুর উপজেলার সভাপতি নূরে আলম সিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম তানিমসহ আবু সাঈদ মন্ডল, মশিউর রহমান, মতিউর রহমান, নূর মোহাম্মদ, বিপ্লব হোসেন, মাহবুবুর রহমান ও মনজুর কাদের পলাশ প্রমুখ।
এই রকম আরো খবর