কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার পাথরডুবি ইউনিয়নের ভারতের সীমান্তবর্তী এলাকায় জন্ম নিয়ে বেড়ে উঠেছে একটি ষাঁড়। সীমান্ত এলাকায় জন্ম নেওয়ায় ষাঁড়টির মালিক তার নাম দিয়েছে ‘সীমান্ত রাজা’।
কোরবানির ঈদে বিক্রির জন্য দুই বছরের অধিক সময় ধরে ষাঁড়টি লালন-পালন করে আসছেন সর্দার রমজান আলী। তার দাবি, ষাঁড়টির ওজন প্রায় ২৫ মণ। সীমান্ত এলাকায় বিশাল আকৃতির এই ষাঁড়টি ব্যাপক আলোড়ন তুলেছে। ষাঁড়টি দেখতে প্রতিদিন ভিড় করছেন এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। মালিক ষাঁড়টির দাম হাঁকিয়েছেন চার লাখ টাকা।
জানা গেছে, ভূরুঙ্গামারী উপজেলার পাথরডুবি ইউনিয়নের চাঁদনীবাজার এলাকার সর্দার রমজান আলী ইটভাটায় কাজ করতেন। এর পাশাপাশি নিজ বাড়িতে একটি গরুর খামার গড়ে তোলেন। পাঁচ বছর আগে খামারের জন্য তিনি ফ্রিজিয়ান জাতের একটি গাভি কেনেন। সেই গাভি থেকেই জন্ম হয় 'সীমান্ত রাজা'র।
রমজান আলী বলেন, আমি দুই বছর ধরে পিতৃস্নেহে ষাঁড়টিকে লালন-পালন করছি। ষাঁড়টির বর্তমান ওজন হয়েছে প্রায় ২৫ মণ। উচ্চতা ৫ ফুট, দৈর্ঘ্য ৭ ফুটের বেশি হবে। ষাঁড়টিকে গমের ভুসি, খুদের জাউ ও শুকনা খড় খাওয়ানো হয়েছে। গরু মোটাতাজাকরণের কোনো প্রকার ইনজেকশন দেওয়া হয়নি বা অন্য কোনো জিনিস তাকে খাওয়ানো হয়নি। ষাঁড়টির দাম চাইছি চার লাখ টাকা।
স্থানীয়দের মতে, ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড়টি এ বছর উপজেলার সবচেয়ে বড় গরু। তারা জানায়, প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন ষাঁড়টি দেখতে রমজান আলীর বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছেন।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা শামীমা আক্তার বলেন, ঈদুল আজহা উপলক্ষে উপজেলার খামারিরা যেসব গরু মোটাতাজাকরণ করেছেন, সেগুলোর নিয়মিত খোঁজ রাখছি এবং তাদের বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। করোনার এই সংকটময় সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ও অনলাইন কোরবানির হাট ভূরুঙ্গামারী নামের একটি পেইজ খোলা হয়েছে, সেখানে খামার থেকে আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে ছবি তুলে প্রায় ৬ শর মতো গরু ও ছাগলের ছবি আপলোড দিয়েছি। পশুর ছবি, ওজন, রং, মূল্যসহ বিভিন্ন তথ্য ওই পেইজে দেওয়া আছে। সেখানে পশুর ছবি দেখে উপজেলাবাসী তাদের পছন্দ অনুযায়ী অনলাইনে পশু কেনা-বেচা করতে পারবেন।
যেহেতু এই এলাকার জন্য এটা পশু কেনা-বেচার নতুন একটি মাধ্যম, তাই সবাইকে এ বিষয়ে প্রচার চালানোর আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
এই রকম আরো খবর