'কালাবাঘ' এর বেড়ে ওঠা নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার প্রত্যন্ত চরাঞ্চল চরধুয়ার গ্রীন এগ্রো ফার্মে। ওজন ২০ মণ। আসন্ন ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে দেশীয় পদ্ধতিতে ষাঁড়টি হৃষ্টপুষ্ট করেছেন খামারি। কালাবাঘের দাম হাঁকা হচ্ছে ছয় লাখ। পরিচিতজনের মাধ্যমে ষাঁড়টির কথা শুনে অনেকেই দেখতে আসছেন বলে জানান ফার্মটির মালিক।
গ্রীন এগ্রো ফার্মের দায়িত্বে থাকা মুজিবুর রহমান শিকদার জানান, ১২৫টি গরুর মধ্যে সবচেয়ে বড় কালাবাঘ। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার পরামর্শ নিয়ে দেশীয় পদ্ধিতিতে কাঁচাঘাস, খড়, খৈল, ভূষি, অ্যাংকার, মুগডালের ভূষি খাইয়ে মোটাতাজা করা হয়েছে। দেশি, ফ্রিজিয়ান, পাকিস্তানি ও ইন্ডিয়ান জাতের ১২৫টি গরু বিক্রির জন্য অনলাইন হাটে তোলা হবে।
ফারুক শিকদার বলেন, ষাঁড়টি দেখতে অনেকেই আসছেন। তবে এলাকায় ছয় লাখ টাকা দামে ষাঁড়টি কেনার মানুষ খুব একটা নেই। নরসিংদী জেলা শহরের নিয়ে অনলাইন হাটের মাধ্যমে বিক্রি করা হবে।
স্থানীয় খামারিরা জানান, ঈদুল আযহার আগে দেশে চলমান লকডাউনে বন্ধ পশুরহাট। এতে পশু বিক্রি নিয়ে চরম দুচিন্তায় আছেন তারা। তবে আস্থা বাড়ছে অনলাইন পশুর হাটে। করোনার ও লকডাউনের কথা মাথায় রেখে অনলাইন হাটে তুলা হচ্ছে কোরবানির পশু। যদিও এখানো তেমন বিক্রি জমে উঠেনি। তবে ঈদের আগ মুহূর্তে বিক্রি বৃদ্ধির আশা করছেন খামারিরা।
রায়পুরা উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা আজহার-উল-আলম জানান, ফার্মের মালিক আমাদের পরামর্শ নিয়েই প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে ষাঁড়টি লালন-পালন করেছেন। উপজেলার ৯৭১টি গরুর খামার রয়েছে। এসব খামারের রয়েছে ১৭ হাজার ৪৬১টি ষাঁড় ও ৩ হাজার গাভি।
এই রকম আরো খবর