নোয়াখালীর চাটখিলে এক ভুয়া সার্জারি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। দণ্ডপ্রাপ্ত ফয়সাল কবির (৩৬) ঢাকার মগবাজার এলাকার চেয়ারম্যান গলির মাহফুজুর রহমান ওসমানের ছেলে।
মঙ্গলবার (৬ জুলাই) সন্ধ্যায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও চাটখিল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম আবু সালেহ মোহাম্মদ মোসা এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
ভ্রাম্যামাণ আদালত ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. খন্দকার মোস্তাক আহমেদ সূত্রে জানা যায়, কিছুদিন আগে রামগঞ্জে আল-ফারুক হাসপাতালের এক ভুয়া ডাক্তার নিজেকে সার্জারি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে চাটখিল আসে। কয়েক মাস যাবৎ এ ভুয়া সার্জারি বিশেষজ্ঞ চাটখিলে বিভিন্ন হাসপাতাল-ক্লিনিকে অপারেশন করে আসছিল। খবর পেয়ে নোয়াখালী জেলা বিএমএ-এর সভাপতি ও চাটখিল নোমান হাসপাতালের মালিক ডা. নোমান মঙ্গলবার বিকেলের দিকে ফয়সাল কবিরকে চাটখিলে এনে তার সার্টিফিকেট যাচাই-বাচাই করে বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের কোড জালিয়াতির প্রমাণ পেয়ে তাকে প্রশাসনের হাতে সোপর্দ করেন।
আটককৃত ভুয়া ডাক্তার, বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের যে আইডির নাম বলে, তাতে এ নামে আরেকজন ডাক্তার আছেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, সে ওই ডাক্তারের আইডি কপি করেছে। ওই ডাক্তারের নামও ফয়সাল কবির, বাবার নামও একই। তিনি পীরগঞ্জে ৩৯ বিসিএসএ মেডিক্যাল অফিসার। তিনি পাস করেছেন রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ থেকে। কাকতালীয়ভাবে দুজনের চেহারায় অনেক মিল রয়েছে।
অভিযুক্ত ভুয়া ডাক্তারের দাবি, সে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে পাস করেছে। তবে সে ওই সময় প্রকৃত চিকিৎসক হিসেবে তার পক্ষে কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেননি।
চাটখিল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম আবু সালেহ মোহাম্মদ মোসা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল আইনের ২৯ ধারায় ভুয়া ডাক্তারকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী সময়ে তাকে চাটখিল থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়েছে।
এই রকম আরো খবর