comparemela.com


যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বব্যাপী কভিড-১৯ টিকার ন্যায়সঙ্গত বিতরণের বৈশ্বিক উদ্যোগ কোভ্যাক্স-এর বৃহত্তম দাতা দেশ। কোভ্যাক্সের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া অনুদানের টিকার দ্বিতীয় এই চালানটি কভিড-১৯ মোকাবেলায় বাংলাদেশের প্রচেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া ৮৪ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি সহায়তার সাথে যুক্ত হলো।
রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলার আমেরিকান জনগণের পক্ষ থেকে কোভ্যাক্সের মাধ্যমে বাংলাদেশে আসা উপহার ২.৫ মিলিয়ন বা ২৫ লাখ ডোজ মডার্নার কভিড-১৯ টিকা সাদরে গ্রহণ করেছেন। 
এই টিকাগুলো কভিড-১৯ টিকার ন্যায়সঙ্গত বিতরণের বৈশ্বিক উদ্যোগ কোভ্যাক্স অ্যাডভান্স মার্কেট কমিটমেন্টের মাধ্যমে দু'টি বিমানযোগে যুক্তরাষ্ট্র থেকে শুক্রবার রাতে ও শনিবার সকালে বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছে। 
পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এমপি, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং স্বাস্থ্য সচিব লোকমান হোসেন মিয়া রাষ্ট্রদূত মিলার এর সঙ্গে মিলে ২ জুলাই রাতে বিমানযোগে বাংলাদেশে আসা যুক্তরাষ্ট্রের অনুদানকৃত টিকার প্রথম সরবরাহকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন। 
যুক্তরাষ্ট্র কভিড-১৯ মহামারি মোকাবেলায় বৈশ্বিক প্রচেষ্টাকে এগিয়ে নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন টিকার বৈশ্বিক চাহিদা পূরণে সহায়তার লক্ষ্যে ৮০ মিলিয়ন ডোজ টিকা অনুদান দেয়ার ঘোষণার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন। যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের মানুষের জীবন রক্ষা, মহামারির অবসান ও বৈশ্বিক অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে সহায়তা করার লক্ষ্যে জি৭ অংশীদারগণ, ইইউ, কোভ্যাক্স ও অন্যদের সাথে মিলে বহুপাক্ষিকভাবে কাজ করছে।
 
যুক্তরাষ্ট্র টিকার বৈশ্বিক জোট গাভিকে পরিকল্পিত ৪ বিলিয়ন ডলার অনুদানের মধ্যে প্রাথমিকভাবে ২ বিলিয়ন ডলার অনুদান দিয়েছে যাতে করে গাভি বিশ্বব্যাপী কভিড-১৯ টিকা পৌঁছে দিতে কর্মরত কোভ্যাক্স অ্যাডভান্স মার্কেট কমিটমেন্টকে প্রয়োজনীয় সহায়তা করতে পারে। 
আর এই অনুদান বিশ্বব্যাপী ন্যায়সঙ্গতভাবে টিকা বিতরণ ও প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রকে বৃহত্তম দাতা দেশে পরিণত করেছে। কোভ্যাক্স (কভিড-১৯ ভ্যাকসিন গ্লোবাল অ্যাক্সেস) হলো টিকা জোট গাভি, কোয়ালিশন ফর এপিডেমিক প্রিপারেডনেস ইনোভেশনস এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিত কভিড-১৯ টিকা বিশ্বব্যাপী পৌঁছে দেয়ার একটি বৈশ্বিক উদ্যোগ। 
'আমেরিকান জনগণের দেয়া উপহার ২.৫ মিলিয়ন ডোজ টিকা বাংলাদেশের কভিড-১৯ মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা করার প্রতিশ্রুতির সর্বশেষ নিদর্শনমাত্র। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের মহামারি মোকাবেলা প্রচেষ্টায় সহায়তাকারী বৃহত্তম দাতা দেশ। এ কথা পরিস্কারভাবে বলা দরকার- টিকার এই অনুদান শুরু মাত্র। আমরা আমাদের উদ্বৃত্ত সরবরাহগুলো দান করা অব্যাহত রাখব' উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত মিলার বলেন, আমরা শুধুই জীবন রক্ষার উদ্দেশ্যে এই কাজ করছি; কারণ এটাই সঠিক কাজ।
এই গ্রীষ্মে যুক্তরাষ্ট্র কোভ্যাক্সের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী বিতরণের জন্য গাভিকে ৫০০ মিলিয়ন ডোজ ফাইজার টিকা বরাদ্দ দেয়া শুরু করবে। এটি হলো কোন একটি একক দেশের পক্ষ থেকে এযাবতকালে সর্ববৃহৎ পরিমাণে টিকা কেনা ও সেগুলো দান করার মাধ্যমে বিশ্বের মানুষকে কভিড-১৯ থেকে সুরক্ষায় সহায়তা করার ক্ষেত্রে আমেরিকান জনগণের প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন।  
যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডি-র মাধ্যমে কোভ্যাক্সকে দেয়া যুক্তরাষ্ট্রের অনুদান তাদেরকে নিরাপদ ও কার্যকর কভিড-১৯ টিকা কিনে বিশ্বের ৯২টি নিম্ন- এবং মধ্যম- আয়ের দেশের সর্বাধিক অবহেলিত ও ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছে দিতে সহায়তা করবে। এই সহায়তা মহামারি নিয়ন্ত্রণ, ভাইরাসের নতুন ধরন তৈরি হওয়া শ্লথ করতে এবং বৈশ্বিক অর্থনীতি পুনরায় চালু করতে সাহায্য করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
 
যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশীদের স্বাস্থ্য রক্ষায় এবং কভিড-১৯ মোকাবেলায় সরকারের কার্যক্রম জোরদার করতে বাংলাদেশের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করে চলেছে। এখন পর্যন্ত কভিড-সংশ্লিষ্ট উন্নয়ন ও মানবিক সহায়তা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র সরকার ইউএসএআইডি, প্রতিরক্ষা বিভাগ, স্টেট ডিপার্টমেন্ট এবং সিডিসি-র মাধ্যমে বাংলাদেশকে ৮৪ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি অনুদান দিয়েছে। এই সহায়তা জীবন বাঁচাতে ও কভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিত্সায় সহায়তা করার পাশাপাশি পরীক্ষা করা ও মনিটরিং করার সামর্থ্য জোরদার করেছে, কভিড-১৯ এর ঘটনা ব্যবস্থাপনা ও সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ চর্চাগুলো বাড়িয়েছে এবং সরবরাহ ব্যবস্থা ও লজিস্টিক ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি উন্নত করেছে। এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তার লক্ষ্য সম্মুখসারির কর্মীদের সুরক্ষা দেয়া এবং কোভিড-১৯ সম্পর্কে জনগণের জ্ঞান বাড়ানো। 
এছাড়াও বাংলাদেশের কভিড মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া সহায়তার মধ্যে আরো রয়েছে আমেরিকাতে তৈরি ১০০ অত্যাধুনিক ভেন্টিলেটর ও গ্যাস অ্যানালাইজার সরবরাহ যাতে বাংলাদেশ নিজস্ব ভেন্টিলেটর তৈরি করতে পারে; এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে অক্সিজেন সিলিন্ডার, পালস অক্সিমিটার এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলসহ বাংলাদেশব্যাপী কর্মরত সম্মুখসারির কর্মীদের জন্য স্থানীয়ভাবে উত্পাদিত কয়েক লাখ ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) প্রদান করেছে। 
এই রকম আরো খবর

Related Keywords

Bangladesh ,United States ,American ,Earlr Miller ,Masud Bin Momene Health ,Us International ,Health Za Malek ,United States Bangladesh Health ,World Health Agency ,Bangladesh Ticker ,United States Worldwide Ticker ,Ambassador Earlr Miller American ,Advance Market Commitment ,Abdul Momen ,Foreign Secretary Masud Bin Momen ,Health Secretary Hussain Mia Ambassador Miller ,Joe Biden Ticker ,United States Ticker ,Working Advance Market Support ,Global Access ,Ambassador Miller ,State Department ,Logistics Management ,United States Bangladesh ,பங்களாதேஷ் ,ஒன்றுபட்டது மாநிலங்களில் ,அமெரிக்கன் ,எங்களுக்கு சர்வதேச ,அப்துல் மொமந் ,வெளிநாட்டு செயலாளர் மசூத் பின் மொமந் ,உலகளாவிய நுழைவு ,தூதர் மில்லர் ,நிலை துறை ,தளவாடங்கள் மேலாண்மை ,ஒன்றுபட்டது மாநிலங்களில் பங்களாதேஷ் ,

© 2025 Vimarsana

comparemela.com © 2020. All Rights Reserved.