ইউএনওর হস্তক্ষেপে নেত্রকোনার মদনে বাল্য বিয়ে থেকে রক্ষা পেয়েছে এক কিশোরী(১৪)। ওই কিশোরী একটি স্থানীয় মাদ্রাসার চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থী। রবিবার(২৭ জুন) রাতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বুলবুল আহমেদ ওই কিশোরীর বাড়িতে গিয়ে বাল্য বিয়ে বন্ধ করে দেয়। এ সময় কিশোরীর বাবা ও বরের প্রথম স্ত্রীকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, রবিবার( ২৭ জুন) রাতে নেত্রকোনার সদর উপজেলার গরুরহাট এলাকার মল্লিক মিয়ার ছেলে রাজমিস্ত্রি আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর (৩৫) সাথে ওই কিশোরীর বিয়ের আয়োজন চলছিলো। আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর প্রথম স্ত্রী ঝর্ণা আক্তার তার স্বামীর বিয়ের জন্য মদন উপজেলায় ওই কিশোরীর বাড়িতে আসে। স্থানীয় লোকজন বিষয়টি জেনে প্রশাসনকে খবর দেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বুলবুল আহমেদ এবং মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) ফেরদৌস আলম ঘটনাস্থলে যান। তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে বর আনোয়ার হোসেন মঞ্জু পালিয়ে যায়। এ সময় বরের প্রথম স্ত্রী ঝর্ণা আক্তারকে ১ হাজার ও ওই কিশোরীর বাবাকে ১ হাজার করে মোট ২ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এরপর ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত মেয়েটিকে কোথাও বিয়ে দিবে না বলে মেয়ের বাবার লিখিত অঙ্গীকার করেন।
মদন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বুলবুল আহমেদ বলেন, বাল্য বিয়ের খবর পেয়ে আমি মেয়ের বাড়িতে যাই। মেয়ের বাবা অঙ্গিকার করেছেন ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত মেয়েটিকে বিয়ে দিবেন না। এতে দুই জনকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এই রকম আরো খবর