প্রকাশ : ৪ আগস্ট, ২০২১ ১২:২৯
অনলাইন ভার্সন
ডেঙ্গু ছড়াচ্ছে বিভাগেও
খুলনায় চালু হচ্ছে পৃথক ওয়ার্ড, রাজশাহীতেও নতুন রোগী ভর্তি
নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা ও রাজশাহী
খুলনা অঞ্চলে করোনার মধ্যে এবার হানা দিয়েছে ডেঙ্গু। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এরই মধ্যে তিনজন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছে। তাদের হাসপাতালের মেডিসিন ও শিশু ওয়ার্ডে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে রোগীর চাপ আরও বাড়তে পারে- এ আশঙ্কায় হাসপাতালের চতুর্থ তলায় আলাদা ডেঙ্গু ওয়ার্ড চালু করা হচ্ছে।
খুমেক হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. রবিউল ইসলাম বলেন, গত বছর ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসায় বর্তমান ডেডিকেটেড হাসপাতালকে ব্যবহার করা হয়েছিল। কিন্তু এখন সেখানে করোনা রোগীদের ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ফলে হাসপাতালের চতুর্থ তলায় সীমিত পরিসরে একটি পুরুষ ও একটি মহিলা ওয়ার্ড চালু করা হচ্ছে।
এদিকে ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসায় প্লাটিলেট (অনুচক্রিকা যা রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে) প্রদানে ‘সেল্ফ সেপারেটর’ মেশিনের প্রয়োজন হয়। যার মাধ্যমে সুস্থ মানুষের রক্ত থেকে প্লাটিলেট আলাদা করে প্রয়োজনে ডেঙ্গু আক্রান্তদের শরীরে দেওয়া যায়। কিন্তু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সেল্ফ সেপারেটর মেশিনের সংকট রয়েছে। বর্তমানে যে একটি মেশিন রয়েছে তা মাঝে মধ্যেই নষ্ট থাকছে। মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ বলেন, সেল্ফ সেপারেটর মেশিন না থাকলে ভোগান্তি তৈরি হবে। দ্রুত হাসপাতালে একটি মেশিন দেওয়ার জন্য মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে।
জানা যায়, গতকাল ভোর রাতে সজীব (৩২) নামে একজন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন। তার বাড়ি বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ কচুবুনিয়ায়। একই দিন রামপালের বাঁশতলি এলাকার অতিস (৪) ও নড়াইল লোহাগড়ার লিংকন ঘোষ (১০) নামে ডেঙ্গু আক্রান্ত দুই শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
রামেক হাসপাতালে প্রথম ডেঙ্গু রোগী ভর্তি : রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চলতি বছর প্রথম একজন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। তার নাম স্বপন কর্মকার (২৩)। তিনি রাজশাহী মহানগরীর ডিঙাগাডোবা বাগানপাড়া এলাকার মনি রানা কর্মকারের ছেলে। সোমবার বিকালে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, স্বপন ঢাকার নর্দান ইন্টারন্যাশনাল নার্সিং কলেজের ছাত্র। ঢাকাতেই তার ডেঙ্গু ধরা পড়ে। পরে তিনি রাজশাহী চলে এসেছেন। তার শারীরিক অবস্থা ভালোই আছে। পরিচালক আরও জানান, ডেঙ্গু রোগী স্বপন কর্মকারকে এখন হাসপাতালের ৪০ নম্বর ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। সেখানে অন্য রোগীরাও আছেন। স্বপন মশারির ভিতরেই থাকছেন। তারপরও ঝুঁকি এড়াতে বুধবার ডেঙ্গুর নতুন ওয়ার্ড করা হবে। তখন স্বপনকে ওই ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হবে।