comparemela.com


প্রকাশ : ১২ জুলাই, ২০২১ ০৮:৩৫
আপডেট : ১২ জুলাই, ২০২১ ০৯:৩৮
অনলাইন ভার্সন
শাহ মোয়াজ্জেমের চোখে…
বঙ্গবন্ধুর অমোঘ মন্ত্রশক্তিই বারবার কাছে টানতো
সোহেল সানি
সোহেল সানি
বঙ্গবন্ধুর কিছু ত্রুটি-বিচ্যুতির মধ্যেও তার তীব্র স্বকীয়তা ও পরনির্ভরহীনতা সবাইকে আকৃষ্ট করতো। দোষে-গুণেই মানুষ। কিন্তু এমন এক একটি গুণ থাকে যার জন্য শতদোষও খণ্ডিত হতে পারে। যে গুণ ছিলো বঙ্গবন্ধুর। তার সান্নিধ্য ভালো লাগতো। তার ছিলো অমোঘ আকর্ষণীয় শক্তি- যা বারবার কাছে টানতো। আমরা ছিলাম অনেকটা মন্ত্রমুগ্ধ। পারসনাল ক্যারিশমা যাকে বলে, তা ছিলো তুলনাহীন। আমরা ছিলাম অন্ধভক্ত মুজিবঅন্তপ্রাণ। তিনি মানুষকে খুবসহজে আপন করে নিতে পারতেন। সবসময় ভাবতাম তার স্নেহ আছে, আর আমাকে পায় কে? রাজনীতিতে দরকার Friend,philosopher and guide, আমি যা বঙ্গবন্ধুর কাছ থেকে পেয়েছি।
উপর্যুক্ত কথাগুলো সাবেক উপপ্রধানমন্ত্রী শাহ মোয়াজ্জেম হোসেনের। রাজনীতির নানা উত্থানপতনে আলোচিত-সমালোচিত এ বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ তার আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে নানা বিষয়ে তুলে ধরেছেন। পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের এককালীন সভাপতি শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন  লিখেছেন, ছাত্রাবস্থায় বাসায় গেলে মুজিব ভাই ভাবীকে বলতেন, ওকে দুই পয়সা দামের চা দিও না। পাঁজিটা হয়তো সারাদিন ভাত না খেয়েই চরকির মতো ঘুরে বেড়াবে- ওকে ভাত খাইয়ে দাও। কখনো ভাবী বলতেন, এখনো চুলা থেকে তরকারি নামেনি। মুজিব ভাই বলতেন, তাহলে একটা ডিম ভেজে ওকে খাইয়ে দাও, ও কি আর সারাদিনে খাবে! 
স্বাধীনতাত্তোর জাতীয় সংসদের প্রথম চিফ হুইপ শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন। সর্বশেষ অবস্থান বিএনপিতে হলেও তার রাজনৈতিক জীবন বড় ঘটনাবহুল। করেছেন খন্দকার মোশতাকের ডেমোক্রেটিক লীগ। হয়েছেন জেলহত্যা মামলার আসামি। স্বভাবতই তিনি বঙ্গবন্ধুর অনুসারীদের কাছে বিতর্কিত। ছিলেন জেনারেল এরশাদের প্রথমে মন্ত্রী ও পরবর্তীতে উপপ্রধান মন্ত্রী। এরশাদ জামানায় জাতীয় পার্টির মহাসচিবও ছিলেন। পরে জাতীয় পার্টি ভেঙে পাল্টা জাতীয় পার্টি গঠন করেন এরশাদেরই এককালীন প্রধানমন্ত্রী কাজী জাফর আহমেদের সঙ্গে মিলে। বর্তমানে বিএনপিতে থাকলেও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তার পুত্র তারেক রহমানের নেতৃত্ব সম্পর্কে কটাক্ষ করেন। 
শাহ মোয়াজ্জেম লিখেছেন, ১৯৬২ সালের দিকেই শেখ মুজিবুর রহমান নিজহাতে মুসাবিদা করে নিজে প্যাডেল চালিয়ে পূর্ব বাংলার স্বাধীনতার সপক্ষে লিফলেট ছেপে আনতেন, তা গভীর রাতে সাইকেলে চড়ে শেখ ফজলুল হক মনি, সিরাজুল আলম খান ও আবদুর রাজ্জাক আর আমি সেগুলো বিলি করতাম। অনেক নেতার ভিড়ে একটি সাহসী কণ্ঠস্বর, তার (বঙ্গবন্ধু) আপসহীন মনোভাব আর দেশপ্রেম ও মানুষের জন্য অকৃত্রিম ভালোবাসা নিয়ে ত্যাগ তিতীক্ষার পথে যখন যাত্রা শুরু করলেন, তখন বিধাতাও তার হাত উজাড় করে তাকে বরমাল্য দিলেন। শেখ সাহেব আওয়ামী লীগের নেতা, একটি দলের নেতা, সেখানে অচিরেই জাতীয় নেতায় রূপান্তরিত হতে। ৬ দফার বিরুদ্ধে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা দিলো। শেখ মুজিব বঙ্গবন্ধু হয়ে গেলেন। তারপর তার স্বপ্নের বাংলাদেশ।
শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন। আলোচিত-সমালোচিত হলেও বর্ষীয়ান এ নেতা পুরোদস্তুর এক রাজনীতিবিদ। স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক। স্বাধীন বাংলাদেশে জাতীয় সংসদের প্রথম চিফ হুইপ। ষাটের দশকের শুরুতেই রাজনীতির সঙ্গে তার জড়িয়ে পড়া। যখন পূর্বপাকিস্তান ছাত্রলীগের সভাপতি আবদুল মমিন তালুকদার (বঙ্গবন্ধুর প্রতিমন্ত্রী) ও সাধারণ সম্পাদক এমএ ওয়াদুদ (শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির পিতা)।  আওয়ামী লীগের সে সময়ের সাধারণ সম্পাদক শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে শাহ মোয়াজ্জেমের পরিচয় হয় আবদুল মমিন তালুকদারের মাধ্যমে। পরের বছরের সম্মেলনে ছাত্রলীগের সভাপতি হন রফিকউল্লাহ চৌধুরী ( স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর পিতা) ও সাধারণ সম্পাদক হন আজহারউদ্দীন আহমদ। কিন্তু আজহারউদ্দীন ব্যারিস্টারি পড়তে বিলেতে পাড়ি জমান। ফলে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে লাইম লাইটে উঠে আসেন শাহ মোয়াজ্জেম। বক্তৃতাগুণের সুবাদে শেখ মুজিবের আশীর্বাদে পরবর্তী সম্মেলনেই ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। যখন সাধারণ সম্পাদক শেখ ফজলুল হক মনি।
কে এম ওবায়দুর রহমান ও সিরাজুল আলম খানের হাতে ছাত্রলীগের নেতৃত্ব তুলে দিয়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যুক্ত হন অনলবর্ষী বক্তা শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন। ‘৭০ - এর নির্বাচনে জয়ী হয়ে মুক্তিযুদ্ধেও গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখেন।
স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম জাতীয় সংসদে চিফ হুইপ হওয়া শাহ মোয়াজ্জেম কিছুটা মনঃকষ্টে ভোগার কথা অকপটে স্বীকার করেছেন। চিফ হুইপের পদটি তখন প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা হওয়ায় বঙ্গবন্ধুর কাছে আকার ইঙ্গিতে পূর্ণমন্ত্রীর সমমর্যাদাও প্রত্যাশা করেছন। তার ভাষ্যমতে, আকাঙ্ক্ষা পূরণ না হলেও বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের প্রতি ছিলেন অবিচল। 
বঙ্গবন্ধু নিহত হওয়ার পর খন্দকার মোশতাকের প্রতিমন্ত্রী হওয়ার পক্ষে যুক্তি দেখিয়েছেন ঝানু রাজনীতিবিদ শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন। তার মতে, আওয়ামী লীগের অধিকাংশ মন্ত্রী যোগদানের পর তার না বলার কারণ ছিলো না। কিছুটা ভয় ভীতির কথাও উল্লেখ করেন বর্ষীয়াণ এ রাজনীতিবিদ। চিফ হুইপ থেকে তাকে মন্ত্রী করার কথা বলা হলেও বঙ্গভবনে শপথ নেন প্রতিমন্ত্রী হিসেবে।
১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর জেনারেল খালেদ মোশাররফ অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সেনাপ্রধানের পদ দখলের পর বঙ্গভবন থেকে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার হন শাহ মোয়াজ্জেম। ৭ নভেম্বর পাল্টা অভ্যুত্থানের পর জেনারেল জিয়া স্বপদে ফিরলে কারামুক্ত হন তিনি।
মোশতাকের অধিকাংশ মন্ত্রী পরবর্তীতে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে ফিরে এলেও শাহ মোয়াজ্জেম খুনী মোশতাকের নবগঠিত দল ডেমোক্রেটিক লীগে যোগ দেন। এভাবেই বিতর্কিত হয়ে ওঠেন শাহ মোয়াজ্জেম। এরপর জেনারেল এরশাদের  উত্থানের পর প্রথমে মন্ত্রী ও পরে উপপ্রধান মন্ত্রী  হয়ে জাতীয় পার্টির রাজনীতিতে প্রভাববিস্তার করেন। জাতীয় পার্টির মহাসচিব শাহ মোয়াজ্জেম জেনারেল এরশাদের বিশ্বস্ত সহচর হিসেবে আবির্ভূত হলেও পরবর্তীতে পাল্টা জাতীয় পার্টি গঠন করেন কাজী জাফর আহমেদের সঙ্গে। সর্বশেষ  বিএনপিতে যোগ দিলেও গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান দেওয়া হয়নি এ ঝানু রাজনীতিবিদকে। রাজনৈতিক জীবন নিয়ে ইতিমধ্যে তিনি যে দুটি গ্রন্থ লিখেছেন, তাতে অবিস্মরণীয় অবদান তুলে ধরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের প্রতি চিরদিন আস্থাশীল ছিলেন বলেও উল্লেখ করেন। জাতীয় চার নেতা হত্যা মামলার অন্যতম আসামী হওয়া শাহ মোয়াজ্জেম নিজের ওই হত্যাকাণ্ডে যেকোনও প্রকার সম্পৃক্ততা অস্বীকার করেছেন। নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন এবং বলেছেন আওয়ামী লীগ না করাই তার অপরাধ। অবশ্য আওয়ামী লীগ থেকে বিএনপি কিংবা জাতীয় পার্টিতে যাওয়া বহু নেতা বঙ্গবন্ধু এবং মুক্তিযুদ্ধকালীন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বকে কটাক্ষ করে ইতিহাসের বিকৃতি করলেও শাহ মোয়াজ্জেম ব্যতিক্রম।
শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন লিখেছেন, স্বাধীনতাযুদ্ধে ভারতীয় সেনাবাহিনীর অবদান অনস্বীকার্য এবং গৌরবোজ্জ্বল। কৃতজ্ঞতা প্রকাশে বাংলাদেশ কখনও কার্পণ্য করে না। কিন্তু সেই সুবাদে নানা অবিমৃষ্যকারিতা নীরবে সহ্য করে যেতে হবে এটাও একটি আত্মমর্যাদাশীল জাতির কাম্য হয় কি করে?  গুজব ছিল দেশ থেকে সোনা, রূপা, তামা, পিতলসহ তৈজসপত্র, গাড়ি ও বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম বিপুলাকারে সীমান্তের ওপারে চলে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধু এসব অভিযোগ শুনছিলেন। উভয় সংকটে পড়লেন তিনি। ভারতীয় বাহিনীকে স্বদেশে ফেরানো কোনও সহজ ব্যাপার ছিল না। বাস্তবতার সঙ্গে চক্ষুলজ্জা বলেও তো কথা। সরকারের ও দলের নেতারা বিচলিত, কীভাবে সেনাবাহিনী ফেরাবেন তা বোধগম্য হচ্ছিল না কারোরই। অথচ, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু সরাসরি ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে তাগিদ দিয়ে বসলেন, ভারতীয় সেনাবাহিনীকে ফেরত নিতে হবে। ইন্দিরা গান্ধী বললেন আপনার আগামী জন্মদিনের আগেই ফিরিয়ে নেওয়া হবে। ঠিকই সম্মানের সঙ্গে তারা তাদের মাটিতে চলে গেলো। দেশের মানুষ স্বস্তি পেলো।
ইন্দিরা গান্ধী তার এক ঝানু আমলা শ্রী ডিপি ধরকে বাংলাদেশে প্রেরণ করেছিলেন, সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের প্রশাসন কাঠামো গঠনে সহায়তা করার জন্য। বিষয়টি স্পর্শকাতর ঠেকলো বঙ্গবন্ধুর কাছে। এখানকার প্রশাসনও ডি পি ধরের খবরদারি মানতে চাচ্ছিল না। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে রাষ্ট্রদূত ডি পি ধর আনুষ্ঠানিক সাক্ষাৎ করতে গেলেন এক রাতে সমভিব্যাহারে।
সৌজন্যমূলক কুশলাদি বিনিময়ের পরে বঙ্গবন্ধু হঠাৎ করেই বলে বসলেন, মি. ধর, কবে দিল্লী ফিরে যাচ্ছেন?  এসেছেন মাত্র, কয়েকটা দিন আমাদের এখানে কাটান। বাংলাদেশ মাছের দেশ। এখানকার পদ্মার ইলিশ খুবই উপাদেয় ও মজাদার। কয়েকদিন থেকে মাছ-টাছ খান, তারপর যাবেন।
ডি পি ধর হতবাক, প্রথম দিবসেই তাকে ফিরে যাওয়ার তাগিদ দেওয়া হলো, কেন? সরকার প্রশাসন কাঠামো গঠনের কোনও ইঙ্গিতও নেই। তাহলে?  রাষ্ট্রদূত ডি পি ধর ওদিনই বার্তা পাঠালেন দিল্লিতে।
ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী যা বুঝার বুঝলেন। তিনি দ্রুত ঢাকা ত্যাগের নির্দেশ দিলেন মি. ধরকে। এ সম্পর্কে বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রীর সচিব রফিকউল্লাহ চৌধুরীর বরাত দিয়ে তৎকালীন আওয়ামী লীগ নেতা শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন তার একটি গ্রন্থে এ ঘটনার বর্ণনা করে লিখেছেন,   বঙ্গবন্ধু ব্যতীত অন্য কারো পক্ষে এভাবে সরাসরি ডি পি ধরকে অপ্রস্তুত করে ফেলে দিল্লিতে ফেরানোর পথনির্দেশ দিতে পারতেন না।
শাহ মোয়াজ্জেম আরও লিখেছেন, স্বাধীনতার তেজ ছিল বঙ্গবন্ধুর মজ্জাগত। তিনি মনে করেছেন হ্যাঁ, প্রয়োজনে ওদের সাহায্য নিয়েছি, সেজন্য কৃতজ্ঞচিত্তে সর্বদা স্বীকার করব। কিন্তু তাই বলে,আমরা কারো মাখা তামাক খাই না। 
তিনি লিখেছেন ”কেউ অহেতুক অভিভাবক হয়ে দাঁড়াবে এটা বঙ্গবন্ধুর কাছে বাঞ্ছনীয় ছিল না। মি. ধরের প্রস্তাবগুলোও তার মনপুত হয়নি। দেশ শাসনে বঙ্গবন্ধুর মস্তিষ্কের চাইতে হৃদয়ের প্রভাবই কাজ করেছে অধিকতর। কিন্তু একটি বিষয়ে মতান্তর ছিল না যে বঙ্গবন্ধু একজন সত্যিকারের স্বাধীনচেতা মানুষ ছিলেন এবং যতবড় বন্ধুই হোক ভিনদেশের অসিগিরি তার অত্যন্ত অপছন্দীয় ছিল। 
১৯৭৪ সালে পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে মুসলিম দেশসমূহের ইসলামিক সম্মেলন এলো। গণভবনে বৈঠক বসলো। বঙ্গবন্ধুর যোগদান প্রশ্নে সরকারের একটি অংশ ‘না’ যাওয়ার পক্ষে মত দিল। ‘না’ এর পক্ষে ছিলেন- অর্থমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুস সামাদ আজাদ এবং আইনমন্ত্রী ড. কামাল হোসেন প্রমুখ। তারা বলছিলেন, ধর্মনিরপেক্ষ দেশ হিসেবে ইসলামি সম্মেলনে যোগদান ঠিক হবে না। যাওয়ার পক্ষে যারা অবস্থান নিলেন- তাদের যুক্তি ছিল যে, দেশের শতকরা ৯০ ভাগ মুসলিম এবং পৃথিবীতে দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম রাষ্ট্র।। ইসলামিক সম্মেলনে না যাওয়া হবে দেশের মানুষের ধর্মানুভূতির প্রতি উপেক্ষা প্রদর্শনেরই নামান্তর। কেউ কেউ এজন্য অনেক খেসারতের আশঙ্কাও করলেন।
বঙ্গবন্ধু যখন যাওয়ার পক্ষে মত দিতে চলছিলেন, তখন না যাওয়ার পক্ষে যারা ছিলেন, তারা প্রস্তাব দিলেন, ঠিক আছে যেতে চান, যান, কিন্তু যাত্রাপথে দিল্লিতে নেমে ওদের সঙ্গে একটু কথা বলে গেলে সবদিক রক্ষা হয়। তৎকালীন জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ শাহ মোয়াজ্জেম হোসেনের মতে, বঙ্গবন্ধু টেবিল চাপড়িয়ে রীতিমতো ক্রুদ্ধ কণ্ঠে চিৎকার করে উঠলেন, বললেন, আমি কারো মাখা তামাক খাই না যে, আমাকে মাঝপথে নেমে কারো মত নিতে হবে? তোমরা ভেবেছো কী? আমাদের সার্বভৌম দেশ। কী করব, না করব আমরা সাব্যস্ত করব। কাউকে ট্যাক্স দিয়ে চলার জন্য দেশ স্বাধীন হয়নি। পিন্ডির গুহা থেকে নিষ্ক্রান্ত হয়ে আমরা দিল্লির গর্তে ঢুকব- আমার জীবদ্দশায় তা হবে না। তোমরা যে যা মনে কর, কর,আমি ইসলামাবাদ যাব, সরাসরি যাব।
শাহ মোয়াজ্জেম গ্রন্থে লিখেছেন, এ না হলে নেতা! কেউ আর উচ্চবাচ্য করতে সাহসী হল না। এই ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
লেখক: সিনিয়র সাংবাদিক, কলামিস্ট ও ইতিহাস বিশেষজ্ঞ।
বিডি প্রতিদিন/কালাম

Related Keywords

Bangladesh ,India ,Padma ,Barisal ,New Delhi ,Delhi ,Islamabad ,Pakistan ,Agartala ,Tripura ,Alam Khan ,North West Frontier ,East Pakistan ,Khaled Mosharraf ,Shah Moazzam Hussain ,Abdul Momin ,Shah Moazzam Hussein ,Kazi Jafar Ahmed ,Tajuddin Ahmad ,Abdul Razzak ,Indira Gandhi ,Shirin Sharmin Chowdhury ,Sheikh Mujibur Rahman ,Abdul Momin Talukder ,Abdus Samad Azad ,Shah Moazzam ,Government Administration ,Show Army ,India Army ,Tr Administration ,Democratic League ,Bangladesh National Parliament ,Al League ,National Parliament ,National Party ,Kh Democratic League ,Or National ,Deputy Prime Minister Shah Moazzam Hussein ,President Shah Moazzam Hussain ,Her Political ,General Ershad ,Prime Minister Kazi Jafar Ahmed ,Prime Minister Begum Outdoor Zia ,Fabric Rahman ,East Bengal ,Subject Alam Khan ,Sheikh Letters ,Her Dream Bangladesh ,Independent Bangladesh National Parliament ,Brahman State ,Foreign Moni ,Editor Sheikh Mujib Rahman ,Sheikh Mujib ,Editor Sheikh ,Independent Bangladesh ,Chief Posti State ,November General Khaled Mosharraf ,General Zia ,Many Type ,Shah Moazzam Exceptions ,Electrical Equipment ,Prime Minister ,India Prime Minister Indira Gandhi ,Indira Gandhi Her ,Amla Sri ,New Independentr Administration ,Prime Minister Secretary Chowdhury ,Shah Moazzam Hussain Her ,Dhar Her ,May Her ,Islamabad Muslim ,Finance Minister Tajuddin Ahmad ,Samad Azad ,Plans Hussain ,Muslim State ,National Parliament Chief ,For Country Independent ,Shah Moazzam Texts ,பங்களாதேஷ் ,இந்தியா ,பத்மா ,பாரிசல் ,புதியது டெல்ஹி ,டெல்ஹி ,இஸ்லாமாபாத் ,பாக்கிஸ்தான் ,அகர்தலா ,திரிபுரா ,ஆலம் காந் ,வடக்கு மேற்கு எல்லை ,கிழக்கு பாக்கிஸ்தான் ,ஹேலிட் மோஷார்ரப் ,அப்துல் மோமின் ,அப்துல் ரஜ்ஜக் ,இந்திரா காந்தி ,ஷிரின் ஷர்மின் சவுத்ரி ,ஷேக் முஜிபூர் ரஹ்மான் ,அப்துஸ் சமத் அசாத் ,எப்படி இராணுவம் ,இந்தியா இராணுவம் ,ஜனநாயக லீக் ,பங்களாதேஷ் தேசிய பாராளுமன்றம் ,அல் லீக் ,தேசிய பாராளுமன்றம் ,தேசிய கட்சி ,அல்லது தேசிய ,ஜநரல் அர்‌ஶ்யாட் ,கிழக்கு பெங்கல் ,ஷேக் முஜிப் ,சுயாதீனமான பங்களாதேஷ் ,ஜநரல் ஸீய ,ஏதேனும் வகை ,மின் உபகரணங்கள் ,ப்ரைம் அமைச்சர் ,இந்தியா ப்ரைம் அமைச்சர் இந்திரா காந்தி ,இருக்கலாம் அவள் ,சமத் அசாத் ,முஸ்லீம் நிலை ,

© 2025 Vimarsana

comparemela.com © 2020. All Rights Reserved.