সেই কুলসুমী গ্রেফতার
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪৪ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০২১
কুলসুম আক্তার কুলসুমী।
চট্টগ্রাম: নামের মিল না থাকার পরও কুলসুম আক্তার কুলসুমীর বদলে মিনু চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন ২ বছর ৯ মাস ১০ দিন। মিনুর চিরতরে মুক্তি মিলেছে।
এতদিন অধরা মূল আসামি সেই কুলসুমীকে অবশেষে গ্রেফতার করেছে কোতোয়ালী থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) ভোরে নগরের পতেঙ্গা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি কুলসুমী লোহাগাড়া উপজেলার গৌরস্থান মাঝের পাড়া আহাম্মদ মিয়ার বাড়ির আনু মিয়ার মেয়ে। তার বর্তমান ঠিকানা কোতোয়ালী থানাধীন রহমতগঞ্জ সাঈদ ডাক্তারের ভাড়া বাড়ি।
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নেজাম উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, কুলসুম আক্তার কুলসুমীকে ভোরে পতেঙ্গা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে আদালতে পাঠানো হবে।
হত্যা মামলায় আদালত যাবজ্জীবনসহ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ বছরের কারাদণ্ড দেন কুলসুম আক্তার কুলসুমীকে। তার পরিবর্তে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জেল খাটেন মিনু। বিষয়টি চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. শফিকুল ইসলাম খান আদালতের নজরে আনেন। এরপর গত ২২ মার্চ অতিরিক্ত চতুর্থ মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঁঞার আদালতে মিনুকে হাজির করা হলে তার জামিন হয়।
আদালত সূত্রে জানা যায়, নগরের রহমতগঞ্জে একটি বাসায় ২০০৬ সালের জুলাই মাসে মোবাইলে কথা বলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে গার্মেন্ট কর্মী কোহিনুর আক্তার পারভীনকে গলা টিপে হত্যা করা হয়। এরপর রহমতগঞ্জে একটি গাছের সাঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়। কোহিনুর আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি করেন গার্মেন্ট কর্মী কুলসুম আক্তার কুলসুমী। পরে একটি অপমৃত্যু মামলা হয়। পুলিশ দুই বছর তদন্ত শেষে হত্যাকাণ্ডের প্রতিবেদন জমা দেয়।
২০১৭ সালে নভেম্বর তৎকালীন অতিরিক্ত চতুর্থ মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম আসামি কুলসুম আক্তার কুলসুমীকে পারভিন হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন। সাজার পরোয়ানামূলে কুলসুম আক্তার কুলসুমীর পরিবর্তে মিনু ২০১৮ সালের ১২ জুন কারাগারে যান। গত ১৮ মার্চ চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. শফিকুল ইসলাম খান নারী ওয়ার্ড পরিদর্শনকালে মিনু কোনো মামলার আসামি নন বলে জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০২১
এমএম/এসি/টিসি