জাতীয়
মাগুরায় পথে-প্রান্তরে কদম ফুলের অপরূপ সৌন্দর্য
ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯২৬ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০২১
মাগুরায় পথে-প্রান্তরে কদম ফুলের অপরূপ সৌন্দর্য
মাগুরা: বর্ষা আর কদম ফুল যেন একে অপরের অবিচ্ছেদ্য অংশ। একটির সঙ্গে অপরটির রয়েছে নিবিড় সম্পর্ক।
বাংলা প্রকৃতির ছয়টি ঋতু ঘুরে ঘুরে আসে বিচিত্র সৌন্দর্য নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় প্রকৃতিতে বর্ষা আসে এক অসাধারণ রূপ নিয়ে। এই ঋতুটি আসার আগেই কদম ফুল যেন তার আগমণী বার্তা জানিয়ে দেয় সবাইকে।
বর্ষা ছাড়া কদম ফুল অথবা কদম ফুল ছাড়া বর্ষা কোনটিই যেন সম্পূর্ণ হয় না। কবিতায় গানে বর্ষাকে বর্ণনা করতে বারবার এসেছে কদম ফুল প্রসঙ্গ। ‘এসো নীপবনে ছায়াবীথি তলে’ অথবা ‘বাদল দিনের প্রথম কদম ফুল’ গানগুলো যেন প্রকৃতিতে বর্ষার রূপকে ছবির মতো তুলে ধরে।
প্রকৃতিতে এখন বর্ষাকাল। মাগুরার পথে-প্রান্তরে কদম গাছগুলো ভরে উঠেছে ফুলে ফুলে। এ যেন আবহমান বাংলার বর্ষা বরণের প্রাকৃতিক আয়োজন। তবে কদম গাছের বাণিজ্যিক মূল্য কম হওয়ায় এ গাছের সংখ্যা ও কমে আসছে ধীরে ধীরে। অনেকেই কদম গাছ কেটে রোপণ করেছেন লাভজনক কোনো গাছ।
মাগুরার কৃষি ও প্রকৃতি বিষয়ক বেসরকারি সংস্থা পল্লী প্রকৃতির নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক শফিকুর রহমান পিন্টু বাংলানিউজকে বলেন, আমরা বাণিজ্যিক উদ্দেশ্য সাধনের জন্য নানা রকম গাছ রোপণ করছি। আবার অনেক গাছকে অপ্রয়োজনীয় বলে কেটে ফেলছি। কদম গাছ বাংলার আবহমান সৌন্দর্যের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। একইসঙ্গে প্রাকৃতিক নিয়ন্ত্রণের জন্য সব ধরনের গাছের অস্তিত্ব রাখা জরুরি। এ ব্যাপারে সবাইকে সচেতন হতে হবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (খামারবাড়ি) মাগুরার উপ-পরিচালক সুশান্ত কুমার প্রামাণিক বাংলানিউজকে বলেন, বষা এলেই বাংলার খাল-বিল, নদী-নালা পানিতে ভরে ওঠে। সেইসঙ্গে পথে-প্রান্তে কদম গাছে ফুটে থাকে ফুল। কদম গাছের বাণিজ্যিক মূল্য কম থাকায় গাছটি রোপণ কম হয়। তাছাড়া বিভিন্ন সময় ইটভাটায় কম মূল্যে গাছগুলো বিক্রি হয়ে থাকে। তবে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় সব ধরনের গাছ রোপণ করার আহ্বান জানাই।
বাংলাদেশ সময়: ০৯২৮ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০২১
এসআরএস