comparemela.com


নীরব রাতে শুধুই যানবাহনের শব্দ
দীপন নন্দী, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৩৯ ঘণ্টা, জুলাই ৮, ২০২১
রাজপথে ছুটে চলা জরুরি প্রয়োজনে বের হওয়া যানবাহন। ছবি: শোয়েব মিথুন
ঢাকা: রাত ১১টা ঢাকার জন্য খুব বেশি রাত নয়৷ তবে করোনার সংক্রমণ এড়াতে দেশে চলমান কঠোর লকডাউনে রাত আটটার পর থেকেই শহরজুড়ে নেমে আসে সুনসান নীরবতা৷ তখন রাজপথে ছুটে চলা জরুরি প্রয়োজনে বের হওয়া যানবাহন শব্দই শুধু কানে আসে৷
বুধবার (৭ জুলাই) ও বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) পর পর দুই দিন সরেজমিনে ঢাকার রাতের এ দৃশ্য নজরে পড়তে থাকে৷ রাত আটটা-নয়টার পর থেকেই মূল রাজপথ থেকে শুরু করে পাড়া-মহল্লার অলিগলিতে নামতে শুরু করে মধ্যরাতের নিস্তব্ধতা।
রাজধানীর পল্টন, মতিঝিল, কাকরাইল, দৈনিক বাংলা, টিকাটুলী ও দয়াগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্র চোখে পড়ে।
সরেজমিনে দেখা যায়, রাত আটটার পর থেকে রাজধানীর মূল সড়কে সুনসান নীরবতা। মোড়ে মোড়ে রিকশাচালকরা যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করলেও তাদের দেখা মেলে না। ব্যক্তিগত যানবাহনও দেখা যায় না বললেই চলে। চেকপোস্টে ব্যারিকেড থাকলেও তল্লাশির জন্য কাউকে দেখা যায় না।
মতিঝিলের বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে কথা হয় রিকশাচালক আকবর আলীর সঙ্গে৷ তিনি বলেন, পল্টন থেকে যাত্রী নিয়ে কাওয়ানবাজার গিয়েছিলাম৷ সেখান থেকে খালি টানতে টানতে মতিঝিল শাপলা চত্বর আসছি৷ দিনের বেলায় কিছু মানুষ পাওয়া গেলেও, রাত আটটা-নয়টার পর একেবারেই লোক পাওয়া যায় না৷
রাতের ঢাকায় অধিকাংশ রাস্তা জনমানবহীন চোখে পড়ে। তবে কিছুক্ষণ পর পর  নীরব রাজপথ সরব হয়ে ওঠে পণ্যবাহী গাড়ির হর্নের শব্দে। মাঝেমধ্যে সাইরেন বাজিয়ে ছুটতে দেখা যায় অ্যাম্বুলেন্সকে৷
এর বিভিন্ন হাসপাতালের সামনে হাতে-গোনা কয়েকজনকে ওষুধ ও ইনজেকশন কিনতে ফার্মেসিতে যেতে দেখা যায়।
এর বাইরে বিভিন্ন শপিংমলের নিরাপত্তারক্ষীদের টুলে বসে ঝিমাতে দেখা যায়। এটিএম বুথের নিরাপত্তার দায়িত্বরা এক হয়ে গল্প করতেও দেখা যায় পল্টন এলাকায়৷
মূল সড়ক ফাঁকা থাকলেও বিভিন্ন এলাকার গলিতে ঢুকলে দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনের নিয়ম ভেঙে প্রায় সব অলিগলিতে আড্ডার বিষয়টি এখন যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর দৃশ্য আরো বেশি নজরে পড়ে। রাজধানীর অলিগলিতে ভ্রাম্যমাণ চা আর সিগারেটের দোকান নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষ। নিতান্তই পেটের দায়ে ঘর থেকে বের হয়েছেন তারা। যাদের মূল ক্রেতা হলো লকডাউন ভেঙে বের হওয়া মানুষেরা।
এদিকে বৃহস্পতিবার জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে গিয়ে রাজধানীজুড়ে গ্রেফতার হয়েছেন ১ হাজার ৭৭ জন। একইসঙ্গে এদিন ৩১৮ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করা হয়। তাদেরকে সর্বমোট জরিমানার পরিমান ১৬ লাখ ৭৯০ টাকা।
বৃহস্পতিবার দিনভর বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার ও জরিমানা করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৩০ ঘণ্টা, জুলাই ০৮, ২০২১
ডিএন/এএটি

Related Keywords

Bangladesh ,Bengali ,Bangladesh General ,Dayaganj ,Shapla Square , ,Daily Bengali ,Road Demi ,Motijheel Bangladesh ,Tuesday John ,பங்களாதேஷ் ,பெங்காலி ,செவ்வாய் ஜான் ,

© 2025 Vimarsana

comparemela.com © 2020. All Rights Reserved.