comparemela.com
Home
Live Updates
গ্যাস থেকেই বিস্ফোরণ! : comparemela.com
গ্যাস থেকেই বিস্ফোরণ!
মগবাজারের ঘটনা তদন্তে তিন কমিটি
গ্যাস থেকেই বিস্ফোরণ!
ঘটনাস্থলে হাইড্রোকার্বনের অস্তিত্ব পেয়েছে বিস্ফোরক অধিদপ্তর * প্রায়ই বিস্ফোরণ ঘটলেও তিতাস বা সিটি করপোরেশনের দায়িত্ব না নেওয়ার অভিযোগ * বিশেষজ্ঞদের মতামত পেলেই বিস্ফোরণ সম্পর্কে বিস্তারিত বলা যাবে : আইজিপি
যুগান্তর প্রতিবেদন
২৯ জুন ২০২১, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
রাজধানীর মগবাজারে বিকট শব্দ ও আলোর ঝলকানিতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে তিনতলা ভবনটি। শক্তিশালী এ বিস্ফোরণের ধাক্কায় রাস্তার উলটোপাশের বেশ কয়েকটি ভবন ও যানজটে দাঁড়িয়ে থাকা কয়েকটি বাসসহ যানবাহনের ক্ষতি হয়। শরমা হাউজের নিচতলায় হাইড্রোকার্বনের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। স্যুয়ারেজের লাইনের গ্যাস থেকেও বিস্ফোরণ হতে পারে এমন শঙ্কাও করছেন সংশ্লিষ্টরা। পুলিশ প্রধান (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, বিশেষজ্ঞদের মতামত পেলে জানা যাবে ভেতরে কী হয়েছে।
ঘটনা তদন্তে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও বিস্ফোরক অধিদপ্তরের পৃথক তিনটি তদন্ত কমিটির বাইরেও একাধিক সংস্থা কাজ করছে। রোববার রাতে হঠাৎ এই বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল মগবাজারের কিছু এলাকা। এতে নিহত হন সাতজন, আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক মানুষ। নিহতদের মধ্যে চারজনের লাশ স্বজনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকিদের এখনো শনাক্ত করা যায়নি।
সোমবার সকাল থেকে বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা বিস্ফোরণের কারণ অনুসন্ধানে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন। পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, বিস্ফোরক অধিদপ্তর, তিতাস গ্যাস, রাজউকসহ বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরা কথা বলেন ভবনসংশ্লিষ্টদের সঙ্গে। এ সময় পাওয়া যায় চাঞ্চল্যকর তথ্য। স্যুয়ারেজ বা ভূগর্ভস্থ লাইন থেকে দিনের পর দিন গ্যাস জমে জমে বিস্ফোরণ হতে পারে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিসের তদন্তকারীরা। বিস্ফোরণের ঠিক ঘণ্টাখানেক পর শরমা হাউজের পেছনের স্যুয়ারেজ লাইনের ঢাকনায় পরীক্ষা করে হাইড্রোজেন সালফাইড গ্যাসের অস্তিত্ব পায় ফায়ার সার্ভিস। ভবনটির নিচতলায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ভয়াবহ দাহ্য পদার্থ হাইড্রোকার্বনের উপস্থিতি পায় বিস্ফোরক অধিদপ্তর।
দুর্ঘটনাস্থল ঘুরে দেখে বিস্ফোরক অধিদপ্তরের প্রধান বিস্ফোরক পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ জানান, নিচতলায় হাইড্রোকার্বনের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। তাই প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, এখানে প্রাকৃতিক গ্যাস লিকেজের কোনো বিষয় থাকতে পারে। তিনি বলেন, হাইড্রোকার্বন হলো প্রাকৃতিক গ্যাসের একটি উপাদান। তবে শুধু গ্যাস থেকে এত বড় বিস্ফোরণের ঘটনা অস্বাভাবিক। এখন পর্যন্ত কীভাবে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে, তা জানা সম্ভব হয়নি। তদন্ত সাপেক্ষে আসল কারণ জানা যাবে। ভবনটির ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ধ্বংসস্তূপের মধ্যে ঢুকে কোথাও মুভ করব, এমন সুযোগ ছিল না। ছাদও ভাঙা। দু-এক জায়গায় গ্যাস ডিটেক্টর নিয়ে কাজ করা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের তদন্তকারীরা বলছেন, বিস্ফোরণটি ছিল একমুখী। তিনতলা ভবনের নিচতলায় ছিল শর্মা হাউজ ও বেঙ্গল মিট। শর্মা হাউজের পেছনের অংশে একটি টিনশেড রান্নাঘর ছিল। লাইনের গ্যাস নিয়ে সেখানে রান্নার কাজ হতো। ঠিক তার পাশেই ছিল স্যুয়ারেজ লাইনের একটি ঢাকনামুখ। ধারণা করা হচ্ছে এসব গ্যাস এসে পুরো জায়গাটি ‘গ্যাস চেম্বারে’ পরিণত হয়। বিস্ফোরণের কারণে পেছনের দেওয়ালটি ধসে যায়। মোটা দেওয়ালের কারণে পেছনের ভবনের তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। কিন্তু শর্মা হাউজের সামনের অংশে কাচ থাকায় তা চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে যায় এবং ধ্বংস হয় সামনের রাস্তার যানবাহন এবং উলটোপাশের কয়েকটি ভবন।
এদিকে বিস্ফোরণের পর খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এর আগেও ওই এলাকায় ছোট ছোট বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে ভুক্তভোগীরা সিটি করপোরেশনসহ বিভিন্ন সংস্থার শরণাপন্ন হন। জাহিদ হোসেন নামের স্থানীয় একজন জানান, ‘কখনো আগুন ধরে গেছে, ব্লাস্ট হয়ে স্লাপ উড়ে গেছে। এগুলো কারও কাছে বলে প্রতিকার পাইনি। সিটি করপোরেশন বলে তিতাসের কাজ, তিতাস বলে সিটি করপোরেশনের, আবার বলে পরিবেশ অধিদপ্তরের কাজ। আসলে কেউ দায় নিতে চায় না।’ সবুজ মিয়া নামের একজন জানান, তিন-চার দিন পরপরই এমন বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। তবে সেগুলো ছোট ছিল।
সোমবার সকালের পর ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, মগবাজার আড়ংয়ের উলটো দিকে আউটার সার্কুলার রোডের ৭৯ নম্বর হোল্ডিংয়ের তিনতলা ওই ভবনের সামনে মানুষের ভিড়। ভবনটির সামনেই চলছিল খোঁড়াখুঁড়ি। রোববার সন্ধ্যার বিস্ফোরণে ভবনটি ধসে পড়ার মতো অবস্থা হয়েছে। বিস্ফোরণে নিচতলার ছাদ ভেঙে ফ্লোরে পড়ে আছে। এর তীব্রতায় শরমা হাউজ রেস্টুরেন্ট ও বেঙ্গল মিটের বিক্রয় কেন্দ্র প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। ভবনের বিভিন্ন অংশ, লোহার গ্রিল, আসবাবপত্র, সামনে থাকা একটি ভ্যান পড়ে আছে সামনের রাস্তায়। দ্বিতীয়তলায় সিঙ্গারের বিক্রয়কেন্দ্রের দেওয়াল ভেঙে পণ্যের কার্টন বেরিয়ে এসেছে। ভবনটির সামনের রাস্তায় দুটি বাসও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। শুধু তাই নয়, রাস্তায় উলটোদিকে আড়ংয়ের ভবনের পাঁচতলা পর্যন্ত, বিশাল সেন্টার ও রাশমনো হাসপাতালসহ আশপাশের অন্তত ১৩টি ভবনের কাচ ভেঙে পড়েছে। এতেও অনেকে আহত হয়েছেন।
রোববারের এ বিস্ফোরণের ঘটনায় আহতদের দ্রুত ঢাকা কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, আদ-দ্বীন হাসপাতাল ও হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। গুরুতর আহতদের পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট হাসপাতালে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন কয়েকজন। আহতদের বিষয়ে জানতে চাইলে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. পার্থ শংকর পাল বলেন, আমাদের এখানে পাঁচজন ভর্তি রয়েছে। তার মধ্যে তিনজনই আইসিইউতে। তাদের নব্বই শতাংশ করে দগ্ধ হয়েছে। এদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ঢামেকের এক আবাসিক চিকিৎসক জানান, আহতদের বেশির ভাগেরই গ্লাসের কাটাসহ হেড ইনজুরি রয়েছে।
এদিকে মগবাজারের বিস্ফোরণের পেছনে নাশকতা রয়েছে কিনা তা তদন্তে বের হবে জানালেও ঘটনাকে বোমা হামলা মনে করে শঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই বলে আশ্বস্ত করেছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ। ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, সবগুলো বিষয় মাথায় রেখে তদন্ত করে দেখা হবে। ঘটনাটি নাশকতা কিনা তা স্পষ্ট হওয়ার জন্য আমরা দু-একদিন অপেক্ষা করি। বিস্ফোরণে বাড়ির উত্তর দিকে একমুখী ধ্বংসযজ্ঞ হয়েছে। সাধারণত এটা যদি বিস্ফোরক হতো, তাহলে বহুদিকে মানে তিন-চার দিকে যেত। আর এ ঘটনায় গ্লাসের ভাঙা টুকরা ছাড়া আমরা অন্য কিছু খুঁজে পাইনি। এখানে ওই চিন্তা (বোমা) করে শঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। আমরা এখনই সিদ্ধান্ত না দিই। বিশেষজ্ঞ মতামতের জন্য অপেক্ষা করি। ভবনের ভেতরে মিথেন গ্যাসের গন্ধ রয়েছে । তবে এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের গ্যাস ডিটেক্টর দিয়ে দেখার পর বিস্তারিত বলা যাবে বলেও জানান তিনি।
সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি আরও বলেন, ‘গ্যাসের সিলিন্ডার যদি পুরোপুরি মেইনটেইন করা না হয় সেটিও বোমার মতো হয়ে যায়। কোনো ইলেকট্রনিক বাতি জ্বালানোর সময় যদি স্পার্ক হয় এ সময় গ্যাস সিলিন্ডারের মেইনটেন্যান্স খারাপ থাকলে মুহূর্তের মধ্যে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এগুলো সতর্কতার বিষয় রয়েছে। তবে আমরা সবগুলো বিষয় মাথায় রেখে তদন্ত করছি। এ ধরনের দুর্ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে।’ তিনি আরও বলেন, এ বছর এই ধরনের অনেক বিস্ফোরণ ঘটেছে। এর আগে শনির আখড়ায় বিস্ফোরণ হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের দক্ষ ইউনিটগুলোর সঙ্গে পুলিশ ঘটনার কারণ তদন্ত করবে বলে তিনি জানান।
এদিকে সঠিক নজরদারি ও যথাযথ ব্যবস্থা না গ্রহণ করলে মগবাজারে সংঘটিত বিস্ফোরণের মতো আরও অনেক ভয়াবহ ঘটনা ঘটতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহাম্মেদ খান। সোমবার দুপুরে মগবাজারে বিস্ফোরণের ঘটনাস্থলে পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। সেফটি ম্যানেজমেন্ট ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আলী আহাম্মেদ খান বলেন, আমাদের সেফটি সিকিউরিটি সিস্টেম উদ্বেগজনক। এই ঘটনা সবার জন্য অ্যালার্মিং। সঠিক নজরদারি ও ব্যবস্থাপনা না থাকলে এমন ঘটনা ঘটতেই থাকবে। আমরা ঘটনাস্থলে পরিস্থিতি ও বিস্ফোরণের বিষয়গুলো অবজার্ভ করেছি। ঘটনাস্থলে আমরা এখনো ৮-৯ শতাংশ মিথেন গ্যাসের উপস্থিতি পেয়েছি। এখানে যদি বোম জাতীয় কিছু থাকত, তাহলে আরও বেশি এক্সপ্লোশন হতে পারত।
ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন) লে. কর্নেল জিল্লুর রহমান বলেন, নারায়ণগঞ্জের মসজিদসহ অন্যান্য জায়গায় যে বিস্ফোরণগুলো হয়েছিল গ্যাস বা এই জাতীয় উপাদান থেকেই মূলত সেটি হয়েছিল। এই ঘটনার সঙ্গে তার কিছুটা মিল রয়েছে।
বহুমুখী তদন্ত : এদিকে বিস্ফোরণের ঘটনা অনুসন্ধানে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও বিস্ফোরক অধিদপ্তরের পৃথক তিন কমিটির পাশাপাশি চলছে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার বহুমুখী তদন্ত। এ ঘটনায় সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে পুলিশ। কমিটির প্রধান করা হয়েছে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের (সিটিটিসি) প্রধান ডিআইজি মো. আসাদুজ্জামানকে। সোমবার বিকালে পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি মোহাম্মদ আইয়ুব স্বাক্ষরিত এক পরিপত্রে এই খবর জানানো হয়েছে। তদন্ত কমিটিকে আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে সুস্পষ্ট মতামতসহ প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
অন্যদিকে বিস্ফোরণের ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর। পরিচালক (অপারেশন) লে. কর্নেল জিল্লুর রহমানকে আহ্বায়ক করে এ কমিটি করা হয়। তারা সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবেন।
বিস্ফোরক পরিদপ্তরের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে বলে জানান প্রধান বিস্ফোরক পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ। কমিটিকে সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। তিনি জানান, পুলিশের পক্ষ থেকে যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে সেখানেও বিস্ফোরক পরিদপ্তরের প্রতিনিধি থাকবেন। তবে এ ক্ষেত্রে আলাদা প্রতিবেদন দেওয়া হবে না; পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদনেই আমাদের বিষয়টি যুক্ত হয়ে যাবে।
সম্পাদক :
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Related Keywords
Dhaka
,
Bangladesh
,
Abul Kalam Azad
,
Zillur Rahman
,
Benazir Ahmed
,
Ali Ahmed Khan
,
Institute Hospital
,
Dhaka Medical College
,
Institute Senior
,
City Corporation
,
Intelligence Agency Multipurpose
,
Sheikh Hasina National Bern
,
Safety Management Foundation Advisor Brig
,
Red Crescent Medical College Hospital
,
Hospital Hospitale Sheikh Hasina National Bern
,
Community Medical College Hospital
,
Police Headquarters Office Aigm Job
,
Blast Central
,
Sharma House
,
Small
,
Environment Doe
,
Green Mia
,
Blast Building
,
Medical College Hospital
,
Ad Deen Hospital
,
Hospital
,
Perth Shankar
,
General Benazir Ahmed
,
Civil Defense Doe
,
General Ali Ahmed Khan
,
Safety Management Foundation Advisor Brig General
,
Col Zillur Rahman
,
Counter Terrorism
,
Police Headquarters Office
,
Civil Defense Directorate
,
டாக்கா
,
பங்களாதேஷ்
,
நிறுவனம் மருத்துவமனை
,
டாக்கா மருத்துவ கல்லூரி
,
நிறுவனம் மூத்தவர்
,
நகரம் நிறுவனம்
,
சிறிய
,
மருத்துவ கல்லூரி மருத்துவமனை
,
விளம்பரம் டீன் மருத்துவமனை
,
மருத்துவமனை
,
எதிர் பயங்கரவாதம்
,
போலீஸ் தலைமையகம் அலுவலகம்
,
சிவில் பாதுகாப்பு இயக்குநரகம்
,
comparemela.com © 2020. All Rights Reserved.