comparemela.com
Home
Live Updates
আপিল শুনানি নেই দেড় বছর : comparemela.com
আপিল শুনানি নেই দেড় বছর
আপিল শুনানি নেই দেড় বছর
মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার
আপিল শুনানি নেই দেড় বছর
ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন ৩৬টি মামলা, চূড়ান্ত নিষ্পত্তির অপেক্ষায় ৩০ আপিল * করোনায় সাক্ষীদের আদালতে হাজির করা কঠিন -ট্রাইব্যুনাল রেজিস্ট্রার
আলমগীর হোসেন
১০ জুলাই ২০২১, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের সর্বশেষ শুনানি হয় ২০১৯ সালের ৩ ডিসেম্বর। ওইদিন সাবেক প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারের আপিলের ওপর শুনানি শেষ হয়। এরপর ২০২০ সালের ১৪ জানুয়ারি মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল রেখে রায় ঘোষণা করেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ।
এদিকে চলতি বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি সর্বশেষ একটি মামলায় রায় দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। গত বছর এ ট্রাইব্যুনাল থেকে কোনো রায় আসেনি। করোনা এবং কয়েকজনের মৃত্যুজনিত কারণে ট্রাইব্যুনালের বিচার কার্যক্রমে অনেকটা স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। বর্তমানে ট্রাইব্যুনালে ৩৬টি মামলা বিচারাধীন, আর সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগে ৩০টি আপিল চূড়ান্ত নিষ্পত্তির অপেক্ষায় আছে।
জানতে চাইলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার সাইদ আহমেদ যুগান্তরকে বলেন, করোনায় আক্রান্ত হয়ে আমি চিকিৎসাধীন আছি। করোনার কারণে সাক্ষীদের আদালতে হাজির করা কঠিন হয়ে পড়েছে। আমাদের একজন বিচারকও অসুস্থ ছিলেন। চলমান লকডাউন উঠে গেলে আশা করছি বিচার কার্যক্রম পুরোদমে শুরু হবে।
২০১০ সালের ২৫ মার্চ গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত ও প্রসিকিউশন সংস্থার তথ্যমতে, গত ১১ বছরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ৪২ মামলায় ১০৩ যুদ্ধাপরাধীর মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয়েছে। এর মধ্যে ৭১ জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ হয়েছে। আমৃত্যু সাজা হয়েছে ২২ জনের, অপর আসামিদের বিভিন্ন মেয়াদে দণ্ড হয়। শিশু বয়স বিবেচনায় এক আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন রয়েছে আরও ৩৬টি মামলা, যার আসামির সংখ্যা ২৩৭ জন। ৭৭টি মামলার তদন্ত শেষ হয়েছে। এর মধ্যে বিভিন্ন সময়ে গ্রেফতার হয়েছে ১৬১ জন আর পলাতক রয়েছে ১৪৪ জন। বর্তমানে জামিনে আছে চারজন। গত ১১ বছরে মারা গেছে ২২ আসামি। এ ছাড়া ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত হত্যা, গণহত্যা, নির্যাতন, ধর্ষণ, অপহরণ, অগ্নিসংযোগসহ বিভিন্ন ধরনের আরও ৬৯৭টি অপরাধের অভিযোগ জমা রয়েছে, যার আসামির সংখ্যা ৩ হাজার ৫০৩ জন।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে রায় ঘোষণার পরে ওইসব রায়ের বিরুদ্ধে করা আবেদনগুলোর মধ্যে এখন পর্যন্ত ৯টির চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হয়েছে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগে। আরও দুটি মামলা সর্বোচ্চ আদালতে চূড়ান্ত নিষ্পত্তির অপেক্ষায়। লকডাউনের কারণে মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলাম ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারের পক্ষে করা রিভিউ (রায় পুনর্বিবেচনা) আবেদন বিচারাধীন। এ দুজনের মৃত্যুদণ্ডের রায়ের রিভিউ আবেদন শুনানি পেন্ডিং রয়েছে। এছাড়া যুদ্ধাপরাধী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আওয়ামী লীগ নেতা মোবারক হোসেন, গাইবান্ধার আজিজুর রহমান ও নোয়াখালীর সাইফুদ্দিন আহমেদসহ আরও ৩০টি আপিল সর্বোচ্চ আদালতে চূড়ান্ত নিষ্পত্তির অপেক্ষায় আছে।
চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তির পর সাজা কার্যকর হয়েছে ছয়জনের। তারা হলেন, জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির মতিউর রহমান নিজামী, কেন্দ্রীয় নেতা আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ, আবদুল কাদের মোল্লা, মুহাম্মদ কামারুজ্জামান ও মীর কাসেম আলী এবং বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী। আর আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয় জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে। এছাড়া ৯০ বছরের কারাদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম আযম ও আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপি নেতা আবদুল আলীম কারাগারে থাকা অবস্থায় মারা গেছেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের আরেক নেতা আবদুস সুবহানেরও মৃত্যু হয়েছে কারাগারে।
রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন যুগান্তরকে বলেন, স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হলে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের মামলাগুলো শুনানির উদ্যোগ নেওয়া হবে। জানতে চাইলে ট্রাইব্যুনালে দণ্ডিত বেশ কয়েকজন আসামির আইনজীবী বিশিষ্ট ফৌজদারি আইন বিশেষজ্ঞ খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, করোনার কারণে আপিলগুলো পেন্ডিং আছে, শুনানি হচ্ছে না। সবকিছু স্থবির অবস্থায় রয়েছে।
ট্রাইব্যুনাল থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামিদের মধ্যে রয়েছেন জামায়াত নেতা আবুল কালাম আযাদ, মো. আশরাফুজ্জামান খান, চৌধুরী মঈনউদ্দিন। পলাতক আসামিদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন জাহিদ হোসেন, সৈয়দ হাছান আলী, এটিএম নাছির, আবু সালেহ মুহাম্মাদ আব্দুল আজিজ ওরফে ঘোড়ামারা আজিজ ও রুহুল আমিন। তদন্ত সংস্থার তথ্যমতে, পলাতক আশরাফুজ্জামান এখন যুক্তরাষ্ট্রে আর মঈনউদ্দিন আছেন যুক্তরাজ্যে। তাদের ফেরাতে চেষ্টা করছে সরকার। আবুল কালাম আযাদ কখনো পাকিস্তানে কখনো সৌদি আরবে অবস্থান করেন এমনটা শোনা যায়।
তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক এম সানাউল হক যুগান্তরকে বলেন, করোনার কারণে আদালতে সাক্ষী হাজির করা যাচ্ছে না। এ অবস্থায় বিচারকাজ আপাতত বন্ধ রয়েছে। এ বিষয়ে প্রসিকিউটর রানা দাশগুপ্ত বলেন, দেড় বছরের ওপর হলো কোনো মামলা-মোকদ্দমা আমরা করতে পারছি না। তদন্ত সংস্থার প্রধান সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান খান ও প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম ভাইয়ের মৃত্যুর পর অভাবটা আমরা বুঝতে পারছি। এ অভাব পূরণের নয়।
সম্পাদক :
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Related Keywords
Brahmanbaria
,
Bangladesh General
,
Bangladesh
,
Saudi Arabia
,
United States
,
United Kingdom
,
Pakistan
,
Mubarak Hussain
,
Abul Kalam Azad
,
Muhammad Kamaruzzaman
,
Abdul Alim
,
Syed Hasan Ali
,
Ali Ahsan Muhammad
,
Amin Ahmed
,
Amir Ghulam Azam
,
Saifuddin Ahmed
,
Hussain Sayedee
,
Amir Motiur Rahman Nizami
,
Ashrafuz Zaman Khan
,
Mir Qasim Ali
,
Salahuddin Quader Chowdhury
,
Justice Syedr Hussein
,
Abdul Hannan Khan
,
Syedm Kaiser
,
Supreme Court
,
Brahmanbaria Al League
,
Organization Liberation
,
For Supreme Court
,
State Syedm Kaiser
,
Chief Justice Syedr Hussein
,
Tribunal Registrar Said Ahmed
,
Roy Review Application
,
District Azizur Baby
,
Ali Ahsan Muhammad Mujahid
,
Abu Saleh Muhammad Abdul Aziz
,
Rana Ware
,
பிரம்மன்பரியா
,
பங்களாதேஷ்
,
சவுதி அரேபியா
,
ஒன்றுபட்டது மாநிலங்களில்
,
ஒன்றுபட்டது கிஂக்டம்
,
பாக்கிஸ்தான்
,
முபாரக் ஹுசைன்
,
அப்துல் ஆலிம்
,
சையத் ஹசன் அலி
,
அலி குசன் முஹம்மது
,
அமீர் குலாம் அஸாம்
,
அப்துல் ஹன்னன் காந்
,
உச்ச நீதிமன்றம்
,
அலி குசன் முஹம்மது முஜாஹித்
,
comparemela.com © 2020. All Rights Reserved.